১১ কিলোমিটার যেতে ৬ ঘণ্টা!
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট
ট্রাকচালক নুরুল হুদা পণ্যবোঝাই করে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সোমবার রাতে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা আসতেই পড়েন তীব্র যানজটে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা বাজলেও বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে পারেননি তিনি। মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু আসতে ১১ কিলোমিটার সড়কে তার সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা।
শুধু চালক নুরুল হুদা নয়, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।
বিজ্ঞাপন
সবজি বোঝাই ঢাকাগামী ট্রাকেরচালক আমিনুল বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে ধীরগতিতে গাড়ি চালিয়েছি। সিরাজগঞ্জ পার হওয়ার পরই যানজটের কবলে পড়ি। ফলে সেতুর পশ্চিম পাড়েই রাত কাটাতে হয়েছে। সকালের দিকে সেতু পার হয়েছি।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। এতে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস হতে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু ৮ নম্বর পিলারের কাছে রাতে দুর্ঘটনা ঘটনায় সেতুর দুই পাড়েই যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়।
জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেখানে যানবাহনের মালিক, শ্রমিক ও চালকদের অবহিত করতে বলা হয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে সেতু এলাকায় স্থাপিত আবহাওয়া পরিমাপক যন্ত্রের দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম প্রদর্শন করার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, রাতে সেতুর ওপর উত্তর লেনের ঢাকামুখী ৮ নম্বর পিলারের কাছে মালবোঝাই একটা ট্রাককে অজ্ঞাত আরেকটি পরিবহন ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকটি সেখান থেকে সরিয়ে পশ্চিম থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুর পশ্চিমে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আইয়ুবুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। মহাসড়কে এখনও পরিবহনের চাপ রয়েছে।
এসপি