শীতে নাকাল উত্তরাঞ্চল, বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন
দিন দিন রংপুরে কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রা উঠানামা করায় সূর্যের দেখা মেলাভার। কখনো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, আবার কখনো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে প্রকৃতি। হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে হাড়কাঁপানো শীতের তীব্রতা জেঁকে বসতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলায় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে। এখানে আজকের তাপমাত্রা ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকবে। ১৭-১৮ ডিসেম্বর বা মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হবে। জানুয়ারিতে বেশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
এদিকে, হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপছে রংপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চল। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। গত দুদিন ধরে গ্রামাঞ্চলে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে। তবে বিকেল থেকে আবারও বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
বিজ্ঞাপন
কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। শীতের দাপটে কোণঠাসা হয়ে ঘরবন্দী বৃদ্ধ ও শিশু। সড়কেও পড়েছে শীতের প্রভাব। কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
এদিকে, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রতিদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে।
শহর থেকে একটু দূরে গ্রামে থাকা ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকের শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। তাই খড় ও শুকনো পাতা কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তাদের অনেকেই জানান, রাতের বেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাকাল। আগাম শীতের প্রকোপ মোকাবিলায় প্রস্তুতি না থাকায় কষ্টে আছেন।
এদিকে জেলা প্রসাশন, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেলার বিভিন্ন এলাকায় কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
এসপি