সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে হারিয়ে ফেলা বিড়ালের সন্ধান চেয়ে এলাকাজুড়ে মাইকিং করেছেন এক জার্মান নারী। ওই নারীর নাম জুলিয়া ওয়াসিমান।

স্থানীয়রা বলছেন, ১ মাস আগে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে প্রিয় বিড়ালটি হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাই ১ মাস ধরে সেই বিড়ালের খোঁজ করছেন জুলিয়া ওয়াসিমান।

গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী মাইকিংজুড়ে ছিল বিড়াল ‘লিওর’ সন্ধান চাই। তাহিরপুর বাজারে মাইকে প্রচারণার সময় পোষা বিড়াল ‘লিওর’ টোন ও জুলিয়া ওয়াসিমানের ধারণকৃত রেকর্ড কথোপকথন প্রচার করা হয়। যেন টোন বুঝতে পেরে বিড়াল ‘লিও’র জুলিয়া ওয়াসিমানের কাছে ফিরতে সহজ হয়। তবে পুলিশ বলছে, জার্মানির কোনো নারী এ বিষয়ে যোগাযোগ করেনি তাদের সঙ্গে।

টাঙ্গুয়ার হাওরের নৌকাচালক ভাটি তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরকামাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাসখানেক আগে তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসেছিলেন জার্মান নারী জুলিয়া ওয়াসিমান। সঙ্গে ছিল তার প্রিয় পোষা বিড়াল ‘লিও’। তাহিরপুরের মাছ বাজার এলাকায় দেশি এক বিড়ালের তাড়া খেয়ে হারিয়ে যায় ‘লিও’। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হারানো বিড়ালটিকে পাওয়া যায়নি। বিড়ালের সন্ধান দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন তিনি। আমরা সবাই এখন বিড়ালটির খোঁজ করছি।

তাহিরপুর বাজারের লন্ড্রি ব্যবসায়ী শ্রীদাম বর্মন বলেন, পোষা বিড়ালের প্রতি জার্মান নারীর ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তিনি আরও জানান, জার্মান নারী বাংলায় কথা বলতে পারেন। তিনি বলেছেন, কেউ ‘লিওর’ সন্ধান দিতে পারলে তাকে তিনি পুরস্কৃত করবেন।

এ বিষয়ে ‘তাহিরপুর হেল্পলাইন’ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘বিড়ালটির সন্ধান চাই, লিওর সন্ধান চাই’ শিরোনামে পোস্টে জানানো হয়, মাসখানেক আগে তাহিরপুরে এসেছিলেন জার্মান মেহমান জুলিয়া ওয়াসিমান। হাওর ভালোবেসে ঘুরতে এসেছিলেন টাংগুয়ার হাওরে। সাথে ছিল প্রিয় লিও। ফেরার সময় তাহিরপুর মেশিনবাড়ি ঘাটে হারিয়ে যায় প্রিয় বিড়ালটি। সেই থেকে জুলিয়া খুজচ্ছেন প্রিয় লিওকে।

তাহিরপুর হেল্পলাইনের পরিচালক ফয়সাল হাওরি ঢাকা পোস্টকে বললেন, জুলিয়া ওয়াসমিন এখন এনজিওর সঙ্গে যুক্ত আছেন। কয়েক দিন আগে তিনি বিড়ালের সন্ধান চেয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারনি ফয়সাল হাওরি।

তাহিরপুর থানা পুলিশের চার্জ অফিসার জহিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমাদের সঙ্গে জার্মানির ওই নারী যোগাযোগ করেননি। একমাস আগে হারিয়ে গেলেও এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। থানায় কোনো অভিযোগও আসেনি। 

সাইদুর রহমান আসাদ/এমএএস