ইপিআই কর্মী মো. মহিবুল্লাহ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শিশুদের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কার্ড বানাতে অভিভাবকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইপিআই কর্মী মো. মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তাকে ভাসানচরে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী মো. মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে শিশুদের ইপিআই টিকার কার্ড তৈরিতে অভিভাবকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পেয়েছি। তাৎক্ষণিক তাকে প্রত্যাহার করে হাতিয়ার ভাসানচরে শাস্তিমূলক বদলি করেছি। এ ঘটনায় কনসালটেন্ট মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চরজব্বর ইউনিয়নের চরহাসান ভুইয়ারহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইপিআই কর্মীকে মো. মহিবুল্লাহ শিশুদের  ইপিআই টিকার কার্ড তৈরিতে অভিভাবকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিচ্ছিলেন। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক তাকে প্রত্যাহার করে হাতিয়ার ভাসানচরে বদলি করেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইপিআই কর্মী মো. মহিবুল্লাহকে বদলি ও তার বেতন-ভাতা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইপিআই কর্মী মো. মহিবুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইপিআই টিকার কার্ড সরকার থেকে পর্যাপ্ত দেওয়া হয় না। তাই মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত কার্ড তৈরির জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিই।

কার্ড তৈরিতে ৫০ টাকা লাগে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার্ড বানাতে বেশি টাকা লাগে না। বাকি টাকা চা-নাস্তার খরচ হিসেবে নিই। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর