ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ছয় বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে দেশে ফিরেন তারা। 

ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় ওই ছয়জন নিজ দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পর চেকপোস্টে প্রত্যেককে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভারতফেরতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরকালি বাজাইল গ্রামের আলপনা খাতুন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম, জামালপুর সদর উপজেলার নারিকেলি গ্রামের মানিক মিয়া, ঢাকার কেরাণীগঞ্জের রিনা আক্তার, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ভাস্কর টিলা গ্রামের হানিফা আক্তার এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ারুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতফেরত বাংলাদেশিরা মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে আটক হন। তারা পাচারের শিকার হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে আগরতলার মর্ডান সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের অনেকেই এই হাসপাতালে চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ সময় চেকপোস্টের ভারতপ্রান্তের শূন্যরেখায় ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান এস এম আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরীফুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ খায়রুল আলম প্রমুখ।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর