বন্যহাতি ফিরে গেছে বনে
সারা রাত বাড়ির আঙিনায়, পথে পথে আগুন নিয়ে বসেছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের বড়গোপটিলার বাসিন্দারা। তাতেই বুনো হাতির দল ফিরে গেছে নিজেদের ঠিকানায়। খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের বাসিন্দাদের ফসলি জমি ও গাছগাছালির ক্ষতি করে গেছে হাতির দল।
সীমান্তবাসীর উদ্বেগের কথা জেনে পুলিশ ও বিজিবি বুধবার বিকেলে সীমান্তে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছিল। একই সঙ্গে হাতি না মারার জন্যও নির্দেশনা দেয়।
বিজ্ঞাপন
রাতে হাতির উৎপাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী বসতঘরের পাশে আগুনের কুণ্ডুলি জ্বালিয়ে নির্ঘুম রাত কাটায়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে হাতির দল যে পথ দিয়ে এসেছে, ওই পথেই চলে যাওয়ায় স্বস্তি আসে সীমান্ত এলাকায়।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় থেকে তিনটি বুনো হাতি নেমে আসে। ওই হাতিগুলো সীমান্তের গ্রাম কড়ইগড়া, মাহরাম, বড়গোপটিলাসহ কয়েকটি গ্রামের আমন ধান, কলাগাছ, অন্যান্য গাছ নষ্ট করেছে। বড়গোপটিলার ওপরের উত্তর দিক থেকে নেমে দক্ষিণে মাহরাম টিলার জঙ্গলে আসে ওই তিনটি হাতি। ভয়ে-আতঙ্কে ওই এলাকার বাসিন্দারা শিশু ও বৃদ্ধদের পাশের গ্রামের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। যারা বাড়িতে ছিলেন, তারা বুধবার সন্ধ্যা থেকে বাড়ির আঙিনায় ও পথে পথে আগুন জ্বালিয়ে (আগুন থেরাপি) অবস্থান নিয়ে জেগে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, তিনটি বুনো হাতির কারণে সীমান্তবাসীর উদ্বেগের কথা জেনে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ মাইকিং করে রাতে বসতবাড়ির সামনে ‘আগুন থেরাপি’ দেবার কথা বলেছে। সকালে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, হাতির দল ফিরে গেছে।
সাইদুর রহমান আসাদ/এইচকে