নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মাঝে ৪ হাজার পানির ফিল্টার বিতরণ করেছে গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দিনব্যাপী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন শেল্টারের পরিবারের মধ্যে একটি করে পানির ফিল্টার বিতরণ করা হয়। 

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন এনজিওর লোকবলের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ৪ হাজার ফিল্টার বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে একটি করে ফিল্টার দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে ১৭ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে নৌবাহিনীর ‘বানৌজা টুনা’ ও ‘বানৌজা তিমি’ নামে জাহাজ দুটি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ত্রাণ সহায়তার মোট ১৩৭.২৮ মেট্রিক টন মালামাল নিয়ে ভাসানচর পৌঁছায়। 

রোহিঙ্গাদের জন্য দুই জাহাজে মোট ১১ ধরনের মালামাল রয়েছে। এগুলো হলো- স্লিপিং ম্যাট, কম্বল, প্লাস্টিক ত্রিপল, বালতি, জারিক্যান, সোলার ল্যাম্প, কিচেন সেট, ফিমেইল হাইজিন কিট, লন্ড্রি সোপ, বাথিং সোপ, জুট ব্যাগ। 

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারে চাপ কমাতে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় মিয়ানমারের ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। সরকার নিজস্ব অর্থায়ন এবং দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থাকে যুক্ত করে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
 
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয় শুরু থেকেই জাতিসংঘ বিরোধিতা করেছে। ভাসানচরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছে তারা। তবে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজ শুরু করে অব্যাহত রাখার একপর্যায়ে সেখানে একটি কারিগরি দল পাঠায় জাতিসংঘ। এছাড়া ওআইসি, ঢাকায় পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের পর ইউএনএইচসিআর-এর দুই সহকারী হাইকমিশনার ভাসানচর সফর করেন। এসব সফরের পর জাতিসংঘের কারিগরি দলসহ প্রতিনিধিদল ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। 

হাসিব আল আমিন/এইচকে