খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ব্যস্ত সময় পার করছেন মহালছড়ি ও দীঘিনালার সাত ইউনিয়নের প্রার্থীরা।

জানা গেছে, জেলার দীঘিনালা উপজেলার ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও মহালছড়ির চার ইউনিয়নে এক চেয়ারম্যানসহ ২৬ প্রার্থী ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। যা পাহাড়ে তৃণমূলের ভোটের রাজনীতিতে আগে কখনও হয়নি। মহালছড়ির চার ইউনিয়নে এক তৃতীয়াংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে নির্বাচনী উৎসবে ভাটা পড়েছে। 

এর মধ্যে মহালছড়ির কেয়াংঘাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রুপেন্দু দেওয়ানসহ ১০ ইউপি সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। এ ইউনিয়নে শুধু ১ নং সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সাধারণ ওয়ার্ডে দুজন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। 

এছাড়া মুবাছড়ি ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত তিন ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজেদের জয় নিশ্চিত করেছেন প্রার্থীরা। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও ১, ২ ও ৩ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মহালছড়ি সদর ইউনিয়নে ৪, ৭ ও ৮ নং সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ১ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মাইসছড়ি ইউনিয়নে ৩ ও ৯ নং সাধারণ ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মহালছড়ি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা সুসমিকা চাকমা বলেন, ৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। তাই তাদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জাফর সবুজ/এসপি