নারীসহ আটক সেই নেতাকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার
নারীসহ জনতার হাতে আটক গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে (৪৭) আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সেলিম মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর জামান রিংকু যৌথ বিবৃতিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা মো. আব্দুর রাজ্জাকের নৈতিক স্খলন জনিত কারণে তাহাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে তাহাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক কুপতলা ইউনিয়নের পূর্ব বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আক্তার উদ্দিনের ছেলে এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত দশটার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পূর্ব বেড়াডাঙ্গা আকন্দপাড়া গ্রামে এক নারীসহ আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, ফোনে ওই নারী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা বলতেন। রাজ্জাক তাকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দেখা করতে চান। ওই নারীর স্বামী ঢাকায় কাজ করেন।
স্বামী না থাকায় রাজ্জাক রাত ৯টার দিকে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি তাদের কথাবার্তা শুনে অন্যদের জানান। পরে সবাই এসে খাটের নিচ থেকে রাজ্জাককে আটক করে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে রাজ্জাককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গাইবান্ধা সদর থানার উপ-পুুলিশ পরিদর্শক এসআই হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় ঐ নারী বাদি হয়ে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছেন। এ ছাড়াও ঐ নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে আব্দুর রাজ্জাককে জেলা কারাগরে পাঠানো হয়েছে।
রিপন আকন্দ/আরআই