টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গামছা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন ফারুক হোসেন। উপজেলার সল্লা ইউনিয়নে দুটি কেন্দ্রে একটি করে ভোট পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ৯টি কেন্দ্রে মোট ৩৫টি ভোট পেয়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বিশ্বস্ত ভোট স্ত্রীর ভোটটিও তার ভাগ্যে জোটেনি।

তার স্ত্রীসহ পরিবারের ১৮টি ভোট থাকলেও নিজ কেন্দ্র আনালিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭টি ভোট পেয়েছেন। তবে ওই কেন্দ্রে তার স্ত্রী ভোটার হলেও স্ত্রীর ভোট দিয়েছেন অন্য প্রার্থীকে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সল্লা ইউনিয়নের দেউপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ ভোট, দেউপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ৫ ভোট, দেউপুর চরপাড়া দাখিল মাদরাসায় ১ ভোট, জাবরাজান বিএইচ দাখিল মাদরাসায় ৭ ভোট, টিকুরিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ ভোট, সল্লা সমবায় উচ্চবিদ্যালয়ে ৪ ভোট, বিলছাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ ভোট, নরদহি উচ্চবিদ্যালয়ে ৫ ভোট ও আনালিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ ভোট পেয়েছেন। এতে ৯টি কেন্দ্রে ৩৫টি ভোট পেয়েছে ফারুক হোসেন।

জানা গেছে, গত ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন ফারুক হোসেন। সেই নির্বাচনে তিনি ২০৬২ ভোট পেয়েছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫টি।

গামছা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে এই ভোট পেয়েছি। ভোটের দিন নিজ কেন্দ্র আনালিয়াবাড়িতে নিজের ভোট প্রদান করি। যেহেতু অন্য প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি, তাই তার স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। তবে পরক্ষণেই তিনি বলেন, তার স্ত্রী হয়তোবা আমাকে ভোট দিয়েছে অথবা না-ও দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নের জাবরাজান আমার নির্বাচনী এলাকা। সেখানে ৭টি ভোট পড়েছে আমার। তবে অন্য যে ভোটগুলো পেয়েছি, সেগুলো মানুষ ভালোবেসে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৮ নভেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার কালিহাতীর সল্লা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আলীম ৬ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ২৫৮ ভোট এবং গামছা প্রতীকের প্রার্থী ৩৫টি ভোট।

অভিজিৎ ঘোষ/এনএ