সুনামগঞ্জের ছাতকের আলোচিত তেরা মিয়া হত্যা মামলায় ফারুক আহমদ নামে একজনের যাবজ্জীবন ও আটজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে  সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায়। 

আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
 
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক আহমদ উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক আহমদসহ ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর চার আসামি পলাতক রয়েছেন। 

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ছাতকের বলারপীরপুর সড়কের তেতইখালে একটি সেতু নির্মাণ নিয়ে বলারপীরপুর গ্রামের বাসিন্দা কালারুকা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আরজু মিয়া ও তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী গন্ধর্বপুর গ্রামের আব্দুল হাই আজাদ মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আরজু মিয়ার পক্ষের অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত সবাইকে দুপুরে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত তেরা মিয়া হাসপাতালে মারা যান। 

ঘটনার দুইদিন পর ২৪ নভেম্বর গন্ধর্বপুর গ্রামের ২৮ জনকে আসামি করে ছাতক থানায় মামলা করেন নিহতের ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০০ সালের ২১ এপ্রিল ৪৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ৮ জন মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। ৩১ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ ও অ্যাডভোকেট রবিউল লেইস রোকেস মামলাটি পরিচালনা করেন। 

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর