বরিশালে এলো ৩ লাখ ১২ হাজার ডোজ করোনার টিকা
বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে পৌঁছেছে করোনার টিকা
বরিশাল বিভাগে পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের টিকা। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে এই টিকা পৌঁছে। প্রথম দফায় বিভাগের পাঁচ জেলায় তিন লাখ ১২ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলার করোনা টিকা আজ আসেনি। আগামী ৩১ জানুয়ারি সেখানে তিন কার্টনে ৩৬ হাজার ডোজ করোনার টিকা আসবে।
বিজ্ঞাপন
ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, আজ বরিশাল বিভাগের পাঁচটি জেলায় টিকা এসেছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ১০ কার্টনে এক লাখ ২০ হাজার ডোজ, ঝালকাঠি জেলায় এক কার্টনে ১২ হাজার ডোজ, ভোলায় পাঁচ কার্টনে ৬০ হাজার ডোজ, পটুয়াখালীতে চার কার্টনে ৪৮ হাজার ডোজ, বরগুনায় দুই কার্টনে ২৪ হাজার ডোজ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের জন্য চার কার্টনে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কুমার মন্ডল জানান, এক কার্টনে ১২শ ভায়েল ভ্যাকসিন থাকে। এক ভায়েল দিয়ে ১০ জন মানুষকে টিকা দেওয়া যায়। অর্থাৎ ১২শ ভায়েল ভ্যাকসিন দিয়ে ১২ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, করোনার টিকা বরিশাল জেলায় পৌঁছেছে। আমরা এর তাপমাত্রার মান পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য চারটি জেলায় যাবে। আজ দিনের মধ্যেই ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনায় পৌঁছাবে। পিরোজপুর জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছাবে আগামী রোববার।
স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগে ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসবেক মিলে মোট ৮৮৮ জন করোনার টিকা দেবেন। এদের মধ্যে ১৩২ জন থাকবেন ভ্যাকসিনেটর। স্বেচ্ছাসবেক থাকবেন ৭৫৬ জন। টিকা প্রদানে প্রতি টিমে দুইজন উচ্চ প্রশিক্ষিত ভ্যাকসিনেটর ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারটি টিম, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আটটি টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি করে টিম দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া অতিরিক্ত দায়িত্বে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি টিম স্ট্যান্ড বাই রাখা হবে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, প্রথম অবস্থায় টিকাগুলো এনে জেলা সদরের সিভিল সার্জনের অফিসের আইস লাইনড রেফ্রিজারেটরে (আইএলআর) সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বরিশাল ও ভোলায় থাকা ডব্লিউআইসিতে সংরক্ষণ করা হবে। এরপরে টিকা কার্যক্রম শুরু হলে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর