ভাঙা খুঁটিতে পল্লী বিদ্যুতের লাইন সংস্কার
বিদ্যুতের নতুন পাকা খুঁটিতে ফাটল
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পুরোনো খুঁটি পরিবর্তন করে নতুন খুঁটি স্থাপন করছে। এক মাস ধরে পুরোনো কাঠের ও পাকা খুঁটি পরিবর্তন করে সেখানে নতুন পাকা খুঁটি বসানো হচ্ছে। ঠিকাদার তার ইচ্ছামতো ভাঙা খুঁটি বসিয়ে কাজ করছেন। এতে করে যেকোনো সময় খুঁটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা গেছে, সংস্কার চলমান পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের পুরাতন কাঠের খুঁটিগুলো মাটির নিচ থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার দীর্ঘদিনের পুরাতন খুঁটিগুলোর মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় খুঁটি পরিবর্তন করা হচ্ছে। অথচ যে কারণে খুঁটির পরিবর্তন সেখানেই গলদ কাজ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিন উপজেলার মালখানগরে গিয়ে দেখা যায়, একটি নতুন পাকা খুঁটিতে ফাটল ও ভেতরের রড দেখা যায়। খুঁটিটি হালকা চাপেই যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এর আগে ওই খুঁটি তালতলা বাজার জিল্লুর রহমানের মার্কেট সংলগ্ন স্থানে বসানোর সময় স্থানীয়রা বাধা দেয়।
পরে ওই খুঁটি সরিয়ে মালখানগর গ্রামীণকল্যাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন মঞ্জুর দেওয়ানের বাড়ির সামনে বসানো হয়। মঞ্জুর বাড়ির সামনে বসানোর পর খুঁটি পরিবর্তন করে ভালো খুঁটি দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী বললেও তাতে কোনো লাভ হয়নি।
বিজ্ঞাপন
তালতলা বাজার সার ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন তালুকদার জানান, এ ভাঙা খুঁটি আমাদের দোকানের সামনে স্থাপন করা করছিল, আমারা বাধা দেওয়ায় সরিয়ে নিয়ে যায়।
মঞ্জুর হোসেন দেওয়ান বলেন, ‘শনিবার (২৩ জানুয়ারি) খুঁটিটি আমার বাড়ির সামনের লাগিয়েছে। আমি ওই দিন বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে দেখে পাল্টাতে বলেছি। তারা বলে, ‘৬৫ হাজার টাকার খুঁটি, ভাঙা জায়গায় পলেস্তারা করে দিচ্ছি।’ কিন্তু আমি মেনে নেইনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিরাজদিখান জোনাল অফিসের ডিজিএম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নাই। পুরোনো খুঁটিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, টেম্পার ঠিক নাই; তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে সমস্যা থাকায় পরিবর্তন করে নতুন খুঁটি লাগানো হচ্ছে। খারাপ কোনো খুঁটি লাগাতে পারবে না। আমাদের এজিএম ইঞ্জিনিয়ার তৌকির রহমান তিনি বিষয়টি দেখবেন।
ইঞ্জিনিয়ার তৌকির রহমান এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে আমরা চেক করে দিচ্ছি প্রত্যেকটি খুঁটি। ঠিকানা দিন আমি ব্যবস্থা নেব।
ব ম শামীম/এমএসআর