বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে ফিরে বলেছিলেন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মূলনীতি করেছিলেন। অথচ আজ ধর্মনিরপেক্ষতা কাগজে-কলমে ফিরে এসেছে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি থামছে না। এজন্য সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটছে। এই সাম্প্রদায়িকতা দুর্নীতি, বৈষম্য আর শোষণমুক্তির লড়াইকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কার্স পার্টি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাশেদ খান মেনন বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার হোতারা বারবার রেহাই পেয়ে যায়। ওই গোষ্ঠী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি করেন। আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করারও দাবি জানানোর সাহস দেখান। অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি যারা করে তাদের পরাজয় ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির পুনরুত্থান ঘটেছে। জিয়া-এরশাদ-খালেদা-নিজামীর সময়ের মতো বর্তমানেও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তৃতি ঘটছে।

তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মূল বিষয় বাদ দিয়ে আমরা দোষারোপের রাজনীতি দেখছি। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হতে হলে তার আবশ্যিক ভিত্তি হতে হবে অসাম্প্রদায়িকতা।

পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক বলেন, ভারতের কৃষকদের আন্দোলন ব্যর্থ করতে সেদেশের ক্ষমতাসীনরা সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চেয়েছে, কিন্তু আন্দোলনকারী হিন্দু-মুসলিম-শিখরা তা ব্যর্থ করে দিয়েই সেই আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছে। এদেশের কৃষক-শ্রমিকদের লড়াই দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হবে।

বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড নজরুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পলিট ব্যুরো সদস্য মাহমুদুন হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, শাহজাহান তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ফিরোজ, গোলাম হোসেন, ফাইজুল হক বারি ফারাহিন প্রমুখ।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআার