ভোলার চরফ্যাশনের ঢালচরের দক্ষিণে বঙ্গপোসাগর মোহনায় রোববার (০৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মাছের ট্রলার ডুবে ১৪ মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন বাচ্ছু মাঝি, আলামিন মাঝি, ফারুক হাওলাদার, জাবেদ, খালেক, হাফেজ, ইউছুফ মৌলভী, জসিম জমাদার, রফিক ও মাসুদ।

আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছ মাস্টার জানান, ৫ দিন পূর্বে আবদুল্লাহপুরের ৪নং ওয়ার্ডের কামাল খন্দাকারের একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়।

রাতে ফেরার পথে ঢালচরের দক্ষিণ পাশের চিটাগাংয়ের একটি বড় ট্রলি ধাক্কায় দেয়। এতে কামাল খন্দকারের ২১ জন মাঝি মাল্লাসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। সোমবার দুপুরে হাফেজ নামের এক মাল্লা ফোন করে জানান, তারা ৭ জন পাথরঘাটা এলাকায় উদ্ধার হয়েছেন।

এদিকে পার্শ্ববর্তী আরও একটি ট্রলারের স্টাফ মো. হোসেন জানান, সাগরে আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায় আমরা জাল দ্রুত টেনে উঠিয়ে ফেলি। পরে পাশাপাশি ২টি ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রওয়ানা দেই। কিন্তুু কামাল খন্দাকারের ট্রলারটি আমাদের পেছনে ছিল। ওই ট্রলারটিকে চট্টগ্রামের একটি টলিং জাহাজ মাঝামাঝি এসে ধাক্কা দেয়।

তিনি আরও জানান, এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে জাহাজটি আমাদের বোটের দিকে আসলে আমরা দ্রুত আরও একটি জাহাজের পাশে গিয়ে আশ্রয় নেই। পরে ওই জাহাজটি চলে গেলে আমরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদের খোঁজ করি। কিন্তু কাউকে না পেয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমরা চলে আসি।

তিনি জানান, সাগরে প্রায়ই চট্টগ্রামের কিছু টলিং বোট কাঠবাহী ট্রলারের উপরে এই ধরনের হামলা করে থাকেন। এতে বোটগুলোর অনেক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই জেলে নিখোঁজ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। এর থেকে বাঁচতে তিনি নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্রলারের স্টাফ মো. হোসেন জানান, তবে ওই ফোনের পর তার ফোন নম্বরও বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনা শুনে ট্রলার মালিক কামাল খন্দকার অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। মাঝি-মাল্লাদের বাড়িতে বইছে শোকের ছায়া।

চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন মিয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাটি দক্ষিণ আইচা থানার আওতাধীন। দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

ইমতিয়াজুর রহমান/এমএসআর