মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে কালকিনির রামনগর এলাকায় প্রচারকালে এ ঘটনা ঘটে। 

আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- খালেক সরদার (৬০), সাগর শিকদার (২৫), এনায়েত বেপারী (২৫) ও রাজিব হোসেন (১৮)।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম হানিফ সরদারের সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সোহেল রানা মিঠু।

সংবাদ সম্মেলনে মিঠু বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে দুইদিন আগে যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল আজ তা হুমকির মুখে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের অংশগ্রহণে যেখানে উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রচার প্রচারণার কাজ এগিয়ে চলার কথা সেখানে কতিপয় অসৎ আদর্শহীন লোকের ষড়যন্ত্রের মুখে অশান্তি ও ভীতির পরিবেশ বিরাজ করছে। নৌকা প্রার্থীর লোকজন শান্তির পরিবেশ অশান্ত করছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ৩৭ জন নিরীহ কর্মী ও আত্মীয় স্বজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মিথ্যা ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আমার কর্মীরা তার বাড়ির সামনে ৪০-৫০ টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ হাস্যকর ও কাল্পনিক। আমি প্রশাসনসহ সকলকে অনুরোধ করব, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমার কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করুন।

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থীর মুঠোফোনে কল দিয়ে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে তার এক কর্মী জানান, হানিফ ভাইয়ের কথা বলার সময় নেই।

কালকিনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিরউদ্দিন মৃধাকে কল দিলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন, আমি পরে কথা বলব। আরও অনেক সাংবাদিক আছে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আবারও জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাই আমার বক্তব্য।

নাজমুল মোড়ল/এসপি