বগুড়া শহীদ খোকন পার্ক সংলগ্ন ফুল মার্কেটে বিজয় দিবসের মালা তৈরিতে ব্যস্ত বিক্রেতারা

বিজয় দিবস সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার ফুল বিক্রেতারা। বগুড়া শহরের শহীদ খোকন শিশু উদ্যানের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বগুড়ার একমাত্র ফুল মার্কেট।

সারাবছরই এই ফুল বিক্রেতারা জাতীয় দিবসসহ সব সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ফুল সরবরাহ করে থাকে। এমনকি পুষ্পপ্রেমীরা ভিড় জমায় সারাবছরই। বগুড়া জেলার সব উপজেলার মানুষ এখানে আসে প্রয়োজনীয় ফুল কিনতে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার ফুল মার্কেটে বিক্রি কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বগুড়া ফুল মার্কেটের মোখলেছুর রহমান বাটু, শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ফুল মার্কেটে ১৭টি দোকান রয়েছে। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পুষ্পস্তবকের মালা তৈরি করা হচ্ছে। যার যেমন সামর্থ্য তিনি তেমন দামে কিনবেন।  অনেকে আগেই তৈরি করার চাহিদা দিয়েছেন। ভোর থেকেই চলছে পুষ্পস্তবক তৈরি এবং বিক্রি। আবার অনেকেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী তৈরি করে নিচ্ছেন পুষ্পস্তবক বা বিজয়ের মালা।

বিজয় দিবসের মালায় শ্রদ্ধাঞ্জলি লেখায় ব্যস্ত এক শিল্পী

ফুল দোকানদার মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ দাস বলেন, বগুড়ায় সব ফুল পাওয়া যায় না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল নিয়ে আসতে হয়। তবে যশোর থেকে ফুল আসে সবচেয়ে বেশি। বিজয় দিবস ঘিরে প্রায় ১০/১২ লাখ টাকা বিক্রয় হবে। করোনার কারণে এবার বিক্রি অন্য বছরের তুলনায় কম হবে ধারণা করছেন তিনি।

রিপন নামে এক ফুল বিক্রেতা বলেন, শুধু ৫০ হাজার টাকার ফুলই যশোর থেকে কিনে এনেছি। স্তবক বানিয়ে বিক্রি করব। শ্রমিক ও বাঁশে বাড়তি খরচ রয়েছে। লাখ টাকা বিক্রয় করতে হবে আশাবাদ তার। গোলাম রব্বানী নামের আরেক দোকানদারের বিক্রির টার্গেটও লাখ টাকা।

কাগজে শ্রদ্ধাঞ্জলি লিখছেন শিল্পী নিবির দাস দিপ্ত। তিনি জানালেন লেখা প্রতিটি কাগজ আকারভেদে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

ফুলবাজার ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রচণ্ড ভিড় ফুলবাজারে। দোকান মালিকরাও ব্যস্ত। কর্মচারীরা ফুলের স্তবক বানাতে ব্যস্ত। আগাম অর্ডার নিচ্ছেন দোকানদাররা। যে যেভাবে ফুলের স্তবক চাচ্ছে সেভাবেই বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউবা তৈরি ফুলের স্তবক কিনছেন। গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ফুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফুলের স্তবক।

কাহালু উপজেলা থেকে আসা জহুরুল ইসলাম জানালেন, রাজনৈতিক সংগঠন এবং অন্যদের জন্য কয়েকটি মালা কিনেছেন। তবে দামটা এবার বেশি।

এমএসআর