কুষ্টিয়ায় খোকসার গোপগ্রাম ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতালেব হোসেনের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপগ্রাম বাজার-সংলগ্ন স্লুইচগেটের সামনে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেন সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হয়।

এ সময় নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের ছেলে রাজু ও সজীবসহ ২৫ জন নিয়ে মোতালেব সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ২ জন সমর্থকসহ উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের দাবী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেনের সমর্থকরা দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করে ও অফিসের পাশেই একজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রার্থী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা পুলিশের সামনে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায় কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও আমলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, আমি নৌকার পক্ষের লোক হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনেরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেন বলেন, আমি বা আমার কোনো সমর্থক এই ভাঙচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত নয়। আলম চেয়ারম্যান নিজেই তার লোকজনদের দিয়ে এই কাজ করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সহিংসতা সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, দুপুরের দিকে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে এ ঘটনায় কোনোপক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

রাজু আহমেদ/এমএসআর