চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুরে অসুস্থতার কারণে কাজে না যাওয়ায় মন্টু আলী (৪৫) নামের এক দিনমজুরকে কুপিয়ে জখম করেছে জমির মালিক। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে আহত মন্টু আলীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা।

আহত মন্টু আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

আহত মন্টুর স্ত্রী শাবানা খাতুন অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুতুবপুর গ্রামের বেল্টুর ছেলে আদম আলীর জমি দেখাশোনার কাজ করেন আমার স্বামী। মঙ্গলবার রাত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এতে বুধবার কাজে যেতে পারেননি। পরে রাতে গ্রামের একটি দোকানে গেলে সেখানে আদম আলীর সঙ্গে দেখা হয় তার।

জমিতে কেন যায়নি, জিজ্ঞাসা করলে আমার স্বামী অসুস্থতার কথা জানান। এরপর আদম আলী উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী দৈনিক হাজিরায় কাজ করেন জমিতে। এক দিন কাজে না গেলে এক বেলা না খেয়েও থাকতে হয় আমাদের। আদম আলী এর আগেও আমাদের পরিবারের দুজন সদস্যকে মারধর করেছে। তার ভয়ে আমরা কোনো কথা বলতে পারি না। আমরা এসবের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে আদম আলীর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুব-ই খোদা বলেন, মন্টুর মাথায় তিন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। সেখানে পাঁচ-ছয়টা সেলাই করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কোনো কিছু শুনিনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

আফজালুল হক/এনএ