প্রতীকী ছবি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় পরকীয়ার ঘটনায় বাধা দেয়ায় দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে হাজেরা খাতুন (৫০) নামে একজন বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৮ জন আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নাগ-ডেমরা ইউনিয়নের পাথাইলহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। দুপুরে থানায় মামলা করে পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, পাথাইলহাট গ্রামের প্রামাণিক গোষ্ঠীর মেয়ের সঙ্গে ও সরদার গোষ্ঠীর ছেলে নেকবারের মধ্যে পরকীয়ার ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে নেকবার ওই মেয়ের শয়নকক্ষে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার মা বাধা দেয়।

পরে ঘটনা জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে মুকুল প্রামাণিকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন গুরুতর আহত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ফরিদপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহতরা হলেন মুকুল প্রামাণিক (৫৮), নাগরী খাতুন (৩২), জহুরুল ইসলাম (৩০), মুরাদ হোসেন,  খালেক সরদার, (৩৫) নওশাদ সরদার (৫০) ও নেকবার সরদার (৩০)।

খালেক ও নওশাদকে পার্শ্ববর্তী বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ পাহারায় তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলায় এই দুইজনকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতার অন্য আসামি হলেন খালেক সরদারের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন (২৭)।

এ ঘটনায় নিহত হাজেরা খাতুনের ছেলে মকলেছুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ১৪ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একরামুল হক বলেন, এই দুই গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়ের পরকীয়ার কারণে এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পূর্বশক্রতার জেরে এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩ আসামিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর