আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাস ছিনতাই
আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে চালকের হাত-পা বেঁধে মারধরের পর মাইক্রবাস ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ।
এর আগে গত শনিবার ভোর রাতে আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ধউর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গাড়ির চালক মেহেদী হাসান পুলক (৩৪)। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার কাচারীপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী গাড়িচালক পুলক ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি নিয়মিত পাবনার ঈশ্বরদীর নতুনহাট গ্রীনসিটি থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিককে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন। প্রতিদিনের ন্যায় ১০ ডিসেম্বর ঈশ্বরদীর নতুনহাট গ্রীনসিটি থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিককে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন।
পরে বিদেশি নাগরিককে ১১ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরের নামিয়ে দেই। ফেরার পথে ভোর ৪টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ধউড় এলাকায় পৌঁছলে মহাসড়কের পাশে থাকা ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য সিগনাল দেয়। সন্দেহ হলে গাড়ি না থামিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকেন পুলক।
বিজ্ঞাপন
পরে পেছন থেকে একটি কার মাইক্রোবাসের সামনে এসে গতিরোধ করে। গাড়ি থেকে দুইজন ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত এবং একজন মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি এসে তার কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র বের করে দিলে একজন সে কাগজপত্র দেখতে থাকে।
এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যরা তল্লাশি করার কথা বলে তাকে জোর করে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। পরে তার চোখ ও হাত-পা বেঁধে মারধর করে মোবাইল ফোনসহ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সড়কের পাশে নির্জন স্থানে তাকে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করলে নিজে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ছিনতাইকৃত গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তা খুঁজে বের করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর