জমির বিরোধে কান কাটা গেল বকরের, চোখে জখম শাহজাহানের

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রবাসী মো. শাহজাহানকে চাবি দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় শাহজাহানের স্ত্রী রৌশন আক্তারকেও মারধর করা হয়। উপজেলা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দাউদ সিদ্দিকী ও তার ভাই মাসুদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। তারা দুজনই একই পদে চাকরিরত।

এদিকে ঘটনার সময় দাউদ সিদ্দিকীর বাবা আবু বকর সিদ্দিকের কান কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে বলে শাহজাহানের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শাহজাহানের ছেলে কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান বিপ্লব ও দাউদ সিদ্দিকী পল্টাপাল্টি এসব অভিযোগ করেন। তারা তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তোরাবগঞ্জ বাজারে জমি নিয়ে শাহজাহানের সঙ্গে দাউদ সিদ্দিকী ও তার ভাই মাসুদ সিদ্দিকীদের বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে সোমবার সকালে ওই জমিতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শাহজাহানের স্ত্রী রৌশনকে মারধর করে মাসুদ। এ সময় বাধা দিতে গেলে দাউদ তার হাতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে শাহজাহানের চোখে খোঁচা মারেন। এতে শাহজাহানের চোখে রক্তাক্ত জখম হয়। অন্যদিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাউদের বাবা আবু বকর সিদ্দিকের কান কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান বিপ্লব বলেন, আমার বাবার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন তাকে নিয়ে ঢাকা হাসপাতালে যাচ্ছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এ ঘটনায় আমরা মা বাদী হয়ে মামলা করবেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে দাউদ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করছিলাম। কিন্তু তারা বারবার বাধা দিচ্ছে। ঘটনার সময় তারা এসে ফের বাধা দেয় এবং আমার ছোট ভাই মাসুদকে মারধর করে। এ সময় শাহজাহানের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বাবার কান কেটে আলাদা করে ফেলা হয়েছে।

অফিস চলাকালীন বাড়িতে থাকার প্রশ্নে দাউদ সিদ্দিকী বলেন, আমরা দুই ভাই একই অফিসে চাকরি করি। পদবিও এক। ঘর নির্মাণের জন্য আমরা দুই ভাই অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, শাহজাহানের চোখে জখম ও আবু বকরের কান কেটে ফেলার ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে দুপক্ষের কেউই এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ