কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫ বছর আগে হানিফ পরিবহন বাসে ডাকাতির মামলায় চারজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার, খোকন ও আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি আয়নাল পলাতক রয়েছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাবনার বেড়ার কৌটুলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে দেলোয়ার (৩৩), একই উপজেলার পেচাকোলা গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর (৬০), ঈশ্বরদীর মৃত মহিরের ছেলে খোকন (৪৫) ও বাঘাইল গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আয়নাল (৫৩)। এ মামলায় মজনু, ইউসুফ ও নূর মোহাম্মদ নামের তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। চালক ছিলেন হাফিজুর রহমান। রাত ১২টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল এলাকায় পৌঁছলে বাস থামিয়ে দুজন যাত্রীবেশী ডাকাত উঠে ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে যাত্রীদের মালামাল ডাকাতি করতে থাকে।

এমতাবস্থায় বাসটি ভেড়ামারা রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে র‍্যাবের চারটি গাড়ি বাসটিকে ঘিরে ফেলে এবং ৫ জন ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। পরে তাদের কাছে থেকে দেশীয় অস্ত্র, ৭টি মোবাইল ও ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হানিফ পরিবহন বাসের ড্রাইভার হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় করেন। 

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৪ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ আদালতের বিচারক মামলার চার আসামিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড আদেশ দেন।

১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়নাল পলাতক রয়েছেন।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হানিফ পরিবহনে ডাকাতির মামলায় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চার ডাকাতের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় মজনু, ইউসুফ ও নূর মোহাম্মদ নামের তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাজু আহমেদ/এমএসআর