মো. আব্দুল লতিফ সরকার

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মো. আব্দুল লতিফ সরকার। ৯ ডিসেম্বর তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ১২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় আব্দুল লতিফ সরকারের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। 

কারণ হিসেবে তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় লিখিতভাবে জানান, ভোটার তালিকায় তার নাম নেই অর্থাৎ তিনি মৃত। বাছাইকালে দেখা যায় ২৬/১১/২১ তারিখের সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রাপ্ত ভোটার তালিকায় তার নাম (মো. আব্দুল লতিফ সরকার) লিপিবদ্ধ হয়নি। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ২৬(১) (ঘ) ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত আইনের ধারা ২৬(১) (ঘ) মোতাবেক মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হলো। অর্থাৎ এখন তিনি মৃত। 

এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে যান আব্দুল লতিফ। অথচ এনআইডি কার্ড রয়েছে। তিনি মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষ সিরাজগঞ্জ বরাবর। আগামী ১৮ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তির শেষ তারিখ রয়েছে।

এ বিষয়ে মো. আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, আমি একজন জীবিত ব্যক্তি। প্রার্থী হয়ে জানলাম আমি মারা গেছি। এটা কি করে সম্ভব হয়। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। সেখানে নিষ্পত্তি না হলে প্রয়োজনে আদালতে যাব। 

তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, আমরা বিধি মোতাবেক মো. আব্দুল লতিফ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আপিলে নিষ্পত্তি করবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তার একটি আপিল আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে শুনানি করে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর