এবার ফলবে ফসল, দূর হবে দুর্ভোগ
সাতক্ষীরা পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডসহ মাছখোলা গদাই বিলের এক হাজার একর কৃষি জমিতে থাকে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এক দিকে কৃষকরা বঞ্চিত হন উৎপাদন থেকে অন্য দিকে সারাবছরই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে থাকেন পৌরবাসী। তবে কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেলের নেতৃত্বে এবার দূর হচ্ছে মানুষের স্থায়ী এই দুর্ভোগ। ৯ বছর পর এবার কৃষি পণ্য উৎপাদন, ধান চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।
সাতক্ষীরা পৌরসভার স্থায়ী জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মাছখোলা এলাকার গদাই বিলে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে গদাই বিল বেড়াডাঙ্গা স্লুইচগেট এলাকায় ১০টি সেচ পাম্প বসিয়ে পানি অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেলের নেতৃত্বে গদাই বিল সুরক্ষা কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় পানি অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।
উদ্বোধনকালে পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতায় ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের গোটা এলাকা থাকে পানিতে নিমজ্জিত। মাছখোলা অঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছিল। বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিমেলের নেতৃত্বে গদাই বিল সুরক্ষা কমিটি, ঘের মালিক ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত উদ্যোগে ১০টি সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা হবে। এতে এক দিকে পৌরবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবে অন্যদিকে কৃষকরা জমিতে ফসল ফলাতে পারবেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শুরু করবে। নদী খনন ও সেচ পাম্প চালু থাকলে এসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।
গদাই বিল সুরক্ষা কমিটির সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মঞ্জুর হোসেন বলেন, মাছখোলার গদাইবিলের আয়তন ১ হাজার একর। পানি নিষ্কাশন করতে পারলে বোরো চাষ যেমন সম্ভব তেমনি আগামীতে আমন চাষও করতে পারবেন কৃষকরা।
পানি সেচ উদ্বোধনকালে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেল, লাবসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবক শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, রাজিবুল্লাহ রাজু, রোকনুজ্জজামান সুমন, আব্দুল আহাদ, মিজানুর রহমান, রেজাউল কাগজিসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেল জানান, ২০১৩ সাল থেকে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। আবার পৌর এলাকায় জনবসতির মধ্যেই থাকে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। সেচপাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের মধ্যদিয়ে এর সুফল পাবে পৌরবাসী। টানা ৯ বছর পর বিলে ধান চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।
আকরামুল ইসলাম/এসপি