রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর দিকে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা জড়িতদের বিচার দাবি করে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ টিটুল।

এর আগে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফ আলীর বাড়ি কাছাকাছি এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলামের বাড়ির সামনে বাঁধের পাড়ে টাঙানো নৌকা প্রতীকে আগুন দেয় কে বা কারা।

সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। লাঙল প্রতীকের প্রার্থীরা কচুয়াবাজারে অবস্থান নিয়েছেন। আর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ভিড় করছেন ঘটনাস্থলে। তবে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফ আলীকে দায়ী করে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ টিটুল।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দাবি, শনিবার রাতে ইউনিয়নের নোহালী এলাকায় লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর বাড়ির পাশে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলামের বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর টাঙানো তার নৌকা প্রতীক এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার অভিযোগ লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফ আলী বলেন, গভীর রাতে কে বা কারা নৌকা প্রতীকে আগুন দিয়েছে, তা জানা নেই। অথচ দোষ আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। এটি নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের অপচেষ্টা। আমাকে নিয়ে সরকারদলীয় প্রার্থী ষড়যন্ত্র করছেন। বিষয়টি প্রশাসন, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সবাইকে জানিয়েছি।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, নৌকার প্রার্থীকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রংপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতীকে আগুন দেওয়ার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবাইকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ৯টি ও বদরগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর