কষ্টের দিন ফুরাল রেশমার, পেলেন রঙিন ঘর
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার কুশমাইল ইউনিয়নের চররাধাকানাই গ্রামে পাখির বাসার মতো একটি খুপরি ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন রেশমা বেগম। স্যাঁতসেঁতে মাটির ঘরের চাল ও চারপাশটা ছিল পলিথিন দিয়ে ঘেরা। একটু বাতাসেই নড়াচড়া করতো চটের বেড়াটি। এমন ঘরেই গত ১৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। অবশেষে কষ্টের দিন ফুরাল রেশমার, পেয়েছেন স্বপ্নের টিনশেড রঙিন ঘর। শুধু তাই নয়, টিউবওয়েল, বাথরুম, নতুন জামা-কাপড় সবই পেয়েছে পরিবারটি।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রেশমার কাছে ২১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের টিনসেড ঘরটি হস্তান্তর করেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত সিরাজগঞ্জের সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস। এছাড়া একটি টিউবওয়েল, একটি বাথরুম, বিছানার লেপ-তোশক, শীতের কাপড় ও এক মাসের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় পরিবারটিকে। যেখানে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন
ঘরসহ সব কিছু পাওয়ায় আনন্দে আত্মহারা অসহায় রেশমা বেগম। তিনি বলেন, আমি দুই মেয়ে ও অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে পলিথিনের ছাউনি আর চটের বেড়া দিয়ে বসবাস করছিলাম। স্বপ্নেও ভাবিনি আমি কখনো এমন সুন্দর ঘর পাব। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘরসহ সব কিছু পেয়ে। এখন দিনে অন্যের বাড়ি কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরে স্বামী-সন্তান নিয়ে আরামে থাকতে পারব। এটা ভাবতে এখনো স্বপ্নের মতো লাগছে। যারা সহযোগিতা করে ঘর করে দিয়েছেন, যতদিন বেঁচে থাকবো তাদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করব।
বিজ্ঞাপন
সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, রেশমার পরিস্থিতি এবং তার ঘরের দুরাবস্থার খবর জানতে পেরে বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই। পরে হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংগ্রহীত অর্থ দিয়ে রেশমার পরিবারের জন্য টিনশেড ঘরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকের মানবিক বন্ধুদের এগিয়ে আসা এবং আমার সহযোগীদের চেষ্টায় সর্বদাই জয় হয় মানবতার। সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসেন তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোনো মানুষ থাকবে না।
উবায়দুল হক/আরএআর