নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালাতে গিয়ে সেতারা বেগম (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সেতারা বেগম ভাসানচরের ১০ নম্বর ক্লাস্টারের ১৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বিধবা। এ ঘটনায় সেতারা বেগমের মা নুর বাহারকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। 

নুর বাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে সেতারা বেশ কয়েকদিন ভাসানচরের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। সে শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ। এ অবস্থায় দালাল আমাদের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় শারীরিক অসুস্থতায় আমার মেয়েটা মারা যায়।

ঘটনাস্থল থেকে চরজব্বর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরানুর সাজ্জাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেতারা বেগম মারা গেছেন। আমরা মরদেহ ও আটক নুর বাহারকে চরজব্বর থানায় নিয়ে যাচ্ছি।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহ আসার পর ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর