ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের নারীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২২ জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড লাল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাল স্কুল এলাকায় টিউবওয়েল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী নুরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী সিরাজ গোলদারের সমর্থকরা নির্বাচনী মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সিরাজ গোলদারের সমর্থকরা নুরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ের পাশে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। 

এতে টিউবওয়েল প্রতীকের মো. আলমগীর, জসিম উদ্দিন, সাদ্দাম, মাইনুউদ্দিন, কহিনু, বজলুর আলম, আশিক, রুবেল, সাকিব, সালমা-সহ ২০ জন সমর্থক এবং বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের অহিদুর রহমান, মো. রাকিব, হানিফ, আবু তাহের,আমির হোসেন, সালাউদ্দিন, মিরাজ-সহ ৭ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নুরুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী গত নির্বাচনেও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। তিনি আমার কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

এ সময় নুরুল ইসলাম আগামী ৫ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ  একটি নির্বাচনের দাবি করেন।

এদিকে বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী সিরাজ গোলদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই মোবাইল ফোনে পাল্টাপাল্টি  অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমতিয়াজুর রহমান/এইচকে