পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী স্বামী গৌতম হালদারের বয়স ৪৪ বছর আর স্ত্রী দেবী হালদারের বয়স ১০৪ বছর ১১ মাস ১৭ দিন। তার মানে স্বামীর থেকে স্ত্রী ৬০ বছরের বড়। এ ঘটনায় ওই দম্পতি বয়সের পার্থক্য নিয়ে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি সময় করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এ বি এম সিদ্দিক।

জানা যায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়ন ছৈলাবুনিয়া গ্রামের চিত্তরঞ্জন হালদারের ছেলে ব্যবসায়ী গৌতম হালদার। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী গৌতম হালদারের জন্ম ১৯৭৭ সালের ৬ জানুয়ারি। সে হিসাবে তার বয়স ৪৪ বছর ১১ দিন। অন্যদিকে স্ত্রী দেবীর জন্ম ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। সে হিসাবে সালমার বয়স ১০৪ বছর ১১ মাস ১৭ দিন। ফলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী স্ত্রী দেবী হালদার স্বামী গৌতম হালদারের থেকে ৬০ বছরের বড়।

ভুক্তভোগীর স্বামী গৌতম হালদার বলেন, আমরা ২০১৮ সালের সর্বশেষ হালনাগাদের পরে কার্ড পেয়েছি। কার্ডটি কখনো প্রয়োজন না হওয়ায় ভুলটি দেখা হয়নি। আমার ছেলের একটি কাজের প্রয়োজনে ভুলটি চোখে পড়ার পর আমি নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম। প্রথমবার আমাকে অফিস থেকে বলেছে পরে আসেন। পরে একদিন অফিসে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় আর পরিবর্তনের জন্য গুরুত্ব দিই নাই। পরে আবার কখনো যাব। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা সমস্যার মধ্যে আছি।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এ বি এম সিদ্দিক বলেন, আমি বর্তমানে মঠবাড়িয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত আছি। কার্ডে ভুলের বিষয়টি না দেখে কিছুই বলা যাবে না। এ ছাড়া অফিসের বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন সময় বাইরে থাকতে হয়। আমি ৮ জানুয়ারি পরে ছাড়া সময় পাব না। ভুক্তভোগীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে অফিসে এলে আমি বিষয়টির সমাধান করে দেব।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ সাদিদ বলেন, কার্ডের বিষয়ে তথ্য গ্রহণকারী বা সংগ্রহকারীর ভুল হতে পারে বা যার কার্ডে ভুল হয়েছে, তার কোনো ত্রুটি থাকতেই পারে। এটি এখন সহজেই সমাধান করা সম্ভব। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের ব্যস্ততা শেষ হলে আমি ভুক্তভোগীকে নিয়ে সমাধান করে দেব।

মো. আবীর হাসান/এনএ