এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন রঞ্জন রায়। কিন্তু অর্থাভাবে তার ভর্তি যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তখনই দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী রঞ্জন রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

রঞ্জন ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। পরিবারে রঞ্জনরা দুই ভাই। তার ছোট ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা দিনমজুরি করে সংসার চালান। রঞ্জন পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৪.২৫, জেএসসিতে ৪.৭৫, এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।

এর আগে পুনাকের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জা বিষয়টি জানতে পেরে মেধাবী ছেলেটির পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন।

সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে পুনাকের সহযোগিতায় রঞ্জনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন পুনাক নীলফামারীর সভানেত্রী তাসমিয়া জান্নাত।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, কোর্ট পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, রঞ্জনের বাবা রমেশ চন্দ্র রায়, মা নমিতা রানী রায়, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববি, সহসভাপতি ভুবন রায় নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাদুর রহমান মামুন, দফতর সম্পাদক নূর আলম উপস্থিত ছিলেন এ সময়।

পুনাক নীলফামারীর সভানেত্রী ও সরকারি ফলিত মানববিজ্ঞান কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। একজন শিক্ষক হয়ে মেধাবী ও দরিদ্র রঞ্জনের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়ে। শিক্ষকতার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পাশে থাকার যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের চেয়ে নীলফামারীর প্রত্যন্ত গ্রামের রঞ্জন অন্য রকম। ঢাকায় তার যদি আরও প্রয়োজন হয়, সেগুলো সমাধানে আমি পাশে থাকব।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, রঞ্জনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি পুনাক কেন্দ্রীয় সভাপতি জীশান মীর্জা মহোদয়ের নজরে আসে। তার নির্দেশনা অনুসারে ছেলেটির ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দেওয়া হয় পুনাক থেকে। ভবিষ্যতে তার পাশে থাকবে পুনাক।

রঞ্জনের বাবা রমেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি ব্যাটাটার হাল ছাড়ি দিছিলাম। ঢাকায় আর ভর্তি হবার পায়ছে না বলে। এই আফা যে ব্যবস্থা করি দিল, মুই কোনো দিন ভুলিবার পাইম না।

এনএ