ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষা ও স্বজনরা শনাক্তের পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। বর্তমানে মরদেহগুলো ঝালকাঠী সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। 
 
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
তিনি আরও জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৩৫ জনের মরদেহ আমরা হাতে পেয়েছি। যেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তের পর কিছু ঝালকাঠী ও বেশিরভাগই বরগুনায় পাঠানো হবে। মরদেহ শনাক্তের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, এ ঘটনায় ঝালকাঠী জেলা প্রশাসন থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। 

প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।

আবীর হাসান/আরএআর