ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত শিশু তাইফা আফরিনের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাইফার লাশ এসে পৌঁছায় বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামের বাড়িতে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাইফার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

তাইফা রোডপাড়া এলাকার বশির উদ্দিনের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি ছাত্রী ছিল। এ দুর্ঘটনায় তাইফার বাবাও গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সারে ভুগছিলেন তাইফার নানা আলী শিকদার। তাকে ডাক্তার দেখাতে বাবা বশির উদ্দিনের সঙ্গে ঢাকায় যায় তাইফা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে উঠেন তারা। এরপর লঞ্চটি মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ সময় তাইফার নানা জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিলেও তাইফা ও তার বাবা ডেকে আটকে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তাইফা না ফেরার দেশে চলে যায়। এদিকে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার পর থেকেই তার নানা আলী শিকদার নিখোঁজ রয়েছেন। 

তাইফার স্বজনরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাইফার লাশ বরগুনার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তাইফার বাবাকেও বাড়িতে আনা হয়েছে। তিনি দগ্ধ হওয়ায় অসুস্থ এবং তাইফার মাও শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এমএএস