বক্তৃতা দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভাষণ-বক্তৃতা দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। তাঁর চিকিৎসাও হবে না। আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র আদায়ের যুদ্ধ। আজকে অসুস্থ নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরই সন্তান তারেক রহমান। তিনি দলকে সংগঠিত করছেন। গণতন্ত্র উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যে কোনো সময় আমাদের নেতা তারেক রহমানের ডাক আসতে পারে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজব দেশে বাস করছি, মানুষের চিকিৎসার জন্যও আন্দোলন করতে হয়। এ আন্দোলন সারাদেশে হচ্ছে, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি থানায়, গ্রামে গ্রামে হচ্ছে। সবাই খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনা করছে। তার চিকিৎসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করছে। কিন্তু তা হচ্ছে না। মুক্তি হচ্ছে না। আপনারা কি বিশ্বাস করেন যে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে? বিশ্বাস করেন না। আপনারা কি বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার চেষ্টা করছে? তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি শেখ হাসিনার কাছে চাওয়ার কোনো মানে নেই। আপনাদের আন্দোলন করতে হবে। আর আমাদের আন্দোলন মানে শেখ হাসিনার পতন। সারাদেশের মানুষের কথা এক দাবিও এক। শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বুক টান করে মুষ্টিবদ্ধ হাত নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে শত্রু সামনে পড়বে তাকেই আঘাত করতে হবে। আমাদের শুধু মরবার, মার খাবার জন্য জন্ম হয়নি। মারার জন্যও জন্ম হয়েছে। এই বাংলাদেশে কোনো অন্যায় অবিচারকারীরা ক্ষমতায় থাকতে পারে না। বেআইনি সরকারের মুখে আইন শোনার দরকার নেই। আমাদের রাজত্ব আমরা কায়েম করব, আমাদের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আবার যুদ্ধ করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করব।
বিজ্ঞাপন
জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিন শওকত, এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রোজিয়া আক্তার ডলি প্রমুখ।
চম্পক কুমার/আরএআর