ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বরগুনার ৩৭ যাত্রীর মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, ৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। 

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মরদেহগুলো ঝালকাঠি থেকে বরগুনায় পৌঁছায়।

জেলা প্রশাসন মরদেহ বুঝে নেওয়ার সময় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন, বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

পরিচয় শনাক্ত হওয়া যে মরদেহটি এখনও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি সেটি বরগুনা সদরের পরিরখাল এলাকার জাহানারা বেগমের। মরদেহটি শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

জাহানারার স্বজনরা বলেন, লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি। নিজেরা নিয়ে দাফন কাফনের ব্যবস্থা করব।

সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, লাশগুলো রাতে বরগুনা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশ শনাক্তকরণের জন্য রাখা হবে। যে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা যাবে না সেগুলো সরকারি নিয়ম অনুসারে দাফন করা হবে।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে মরদেহ শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। 

লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নাম্বারটি হলো ০১৭১৬৭০০২৭০ এবং ফোন নাম্বার ০২৪৭৮৮৮৬২৪৮। 

এইচকে