বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই ধাপে ৩৮টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। 

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

পটুয়াখালী

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে পটুয়াখালীর দুই উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের পাঁচটিতে নৌকা, একটিতে বিদ্রোহী ও একটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. বাবুল মিঞা, টিয়াখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা ও চাকামইয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রে ৪৯ হাজার ৭৫৩ জন ভোটারের মধ্যে শতকরা ৭৪ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

অপরদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মু. জাহিদুর রহমান, চরমোন্তাজ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের একে শামসুদ্দিন আবু মিয়া, রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সাইদুজ্জামান মামুন খান, ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের এ বি এম আবদুল মান্নান বিজয়ী হয়েছেন। এ চারটি ইউনিয়নের ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ৮৩৭ জন এবং ৩১ হাজার ২৯২ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই জেলার ৭ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করণীয় ছিল তা করেছে প্রশাসন। এ নির্বাচনে পটুয়াখালীতে পাঁচটি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে এবং দুটি ইউনিয়নে ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। 

মানিকগঞ্জ

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঘিওর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ৯ জন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, চারজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপির তিনজন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে জেলা নির্বাচন অফিস ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। 

জানা গেছে, জেলার ঘিওর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে তিনজন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন ও বিএনপি দুইজন বিজয়ী হয়েছেন। 

সাটুরিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন ও বিএনপির একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ঘিওর উপজেলায় নির্বাচিতরা হলেন- বড়টিয়া ইউনিয়নে সামসুল আলম মোল্লা রওশন (নৌকা), নালী ইউনিয়নে আব্দুল কুদ্দুস মধু (নৌকা), পয়লা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হারুন-অর-রশীদ (নৌকা), ঘিওর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল, সিংজুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু মো. আসাদুর রহমান মিঠু, বানিয়াজুরীতে এসআর আনসারি বিল্টু (বিএনপি) ও বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে মো. আওয়াল খান(বিএনপি)।

অন্যদিকে সাটুরিয়া উপজেলায় নির্বাচিতরা হলেন- ধানকোড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ (নৌকা), তিল্লী ইউনিয়নে শরীফুল ইসলাম (নৌকা), হরগজ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান (নৌকা), দিঘুলিয়া ইউনিয়নে সফিউল আলম (নৌকা), দরগ্রাম ইউনিয়নে আলীনুর বকস (নৌকা), সাটুরিয়া ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন (নৌকা),  বালিয়াটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী, বরাঈদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী মো. আব্দুল হাই ও ফকুরহাটি ইউনিয়নে মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (বিএনপি)।

নোয়াখালী

নোয়াখালী সদর ও কবিরহাট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯টিতে আওয়ামী লীগ এবং সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম।

তিনি বলেন, সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন বাবলু, কাদির হানিফ ইউনিয়নে রহিম চৌধুরী, নেয়াজপুর ইউনিয়নে আমির হোসেন বাহাদুর ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নে গোলাম হোসেন বাবলু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন, এওজবালিয়া ইউনিয়নে মো. বেলাল হোসেন, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে ফয়সাল বারি চৌধুরী, কালাদরাফ ইউনিয়নে শাহাদাত উল্যাহ সেলিম ও আন্ডারচর ইউনিয়নে মো. জসিম উদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কবিরহাট উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রার্থী নরোত্তমপুর ইউনিয়নে এ কে এম সিরাজ উল্লাহ সিরাজ, বাটইয়া ইউনিয়নে জসিম উদ্দিন শাহীন, চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে মহিউদ্দিন টিটু, ঘোষবাগ ইউনিয়নে এ কে এম আলাউদ্দিন ভূইয়া ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে মো. কামাল খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও কবিরহাট উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সুন্দলপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ইলিয়াস ও ধানশালিক ইউনিয়নে মো. শাহাবুদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন,  সকলের আন্তরিকতায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন জেলা পুলিশ উপহার দিতে পেরেছে। এ কারণে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এজন্য আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রশাসন অবাধ,  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। কোথাও কোনো সহিংসতা হয়নি। 

মাগুরা

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ছয়টিতে নৌকা এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচিতরা হলেন- গয়েশপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আব্দুল হালিম, আমলসার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সেবানন্দ বিশ্বাস, শ্রীকোল ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া, শ্রীপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মসিয়ার রহমান, দরিয়াপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুস সবুর, কাদিরপাড়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব হোসেন খান, সব্দালপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পান্না খাতুন ও নাকোল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের হুমাউয়ুনূর রশীদ মুহিত। 

সাতক্ষীরা 

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৯টি ও তালা উপজেলার একটিসহ ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের তিনজন ও বাকী সাত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটগণনা শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ, সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন-  শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ, নুরনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বখতিয়ার আহমেদ, কৈখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম, দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জি এম মাসুদুল আলম, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত সমর্থিত হাজী নজরুল ইসলাম, রমজাননগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী শেখ আল মামুন, পদ্মপুকুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. আমজাদুল ইসলাম, আটুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আবু সালেহ ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অসীম কুমার মৃধা।

এদিকে তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আজিজুর ইসলাম জয়লাভ করেছেন।

নরসিংদী

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার দুটি ও মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে চারটিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ও সাতটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।  

বিজয়ীরা হলেন- পলাশ উপজেলার জিনারদীতে কামরুল ইসলাম গাজী (নৌকা), চরসিন্দুর ইউনিয়নে মোফাজ্জল হোসেন রতন (নৌকা), মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়িতে আব্দুর রউফ হিরন(নৌকা), শুকুন্দিতে সাদিকুর রহমান শামীম (নৌকা), কাচিকাটায় মোবারক হোসেন খান কনক (স্বতন্ত্র), বড়চাপায় এম সুলতান উদ্দিন (নৌকা), লেবুতলায় জাকির হোসেন আকন্দ (নৌকা), গোতাশিয়ায় আবুল বরকত রবিন (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে শরীফ মাহমুদ খান বাহালুল (স্বতন্ত্র), চালাকচরে ফখরুল মান্নান মুক্তু (নৌকা) এবং একদুয়ারিয়া ইউনিয়েনে মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক (স্বতন্ত্র)।

মুন্সিগঞ্জ

চতুর্থ ধাপে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা ১৪টি ও লৌহজং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে নৌকা প্রতীক ও বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচিতরা হলেন- চিত্রকোট ইউনিয়নে শামসুল হুদা বাবুল (নৌকা),শেখরনগরে দেবব্রত সরকার (নৌকা), রাজানগরে মজিবর রহমান (নৌকা), কেয়াইনে আশ্রাফ আলী (নৌকা), বাসাইলে মো. সাইফুল ইসলাম (নৌকা), রশুনিয়ায় অ্যাডভোকেট আবু সাইদ (আনারস), বালুচরে আওলাদ হোসেন (আনারস), লতব্দীতে হাফিজ ফজলুল হক (আনারস), ইছাপুরায় সুমন মিয়া (মোটরসাইকেল),বয়রাগাদীতে গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ (আনারস),মালখানগরে সানজিদা আক্তার (নৌকা), মধ্যপাড়ায় করিম শেখ (নৌকা), জৈনসারে রফিকুল ইসলাম দুদু (আনারস) ও কোলা ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মিন্টু (আনারস)। 

অপরদিকে লৌহজং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিতরা‌ হলেন- বৌলতলী ইউনিয়নে হাজী আব্দুল মালেক শিকদার (আনারস), খিদিরপাড়ায় আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), বেজগাঁওয়ে ফারুক ইকবাল মৃধা (নৌকা), কনকসারে বিদ্যুত আলম মোড়ল (আনারস) ও কলমা ইউনিয়নে আব্দুল মোতালেব শেখ (কলম)। 

উল্লেখ্য, লৌহজং উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে এর আগে চারটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অপর একটি ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জটিলতা থাকায় ওই ইউনিয়নে এবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।

নীলফামারী

নীলফামারীর দুই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে ১২টি ইউনিয়নের ৩টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাকের পার্টি এবং বাকি ৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। 

এর মধ্যে ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বাকি পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

নির্বাচিতরা হলেন- ডিমলা সদরে আবুল কাশেম সরকার (নৌকা), পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে আনোয়ারুল হক সরকার (নৌকা), পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ সরকার (আনারস), ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে একরামুল হক চৌধুরী (ঘোড়া), বালাপাড়া ইউনিয়নে জাহেদুল ইসলাম (আনারস), নাউতারা ইউনিয়নে আহমেদ ইমতিয়াজ (আনারস) ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নে শহিদুজ্জামান সরকার (ঘোড়া)। 

এছাড়াও সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ,  একটিতে জাকের পার্টি ও বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এদের মধ্যে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহজাদা সরকার (নৌকা), কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে জাকের পার্টির নান্চু হাসান চৌধুরী (গোলাপ ফুল), খাতা মধুপুর ইউনিয়নে মাসুদ রানা পাইলট (মোটরসাইকেল), কামারপুকুর ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন সরকার (মোটরসাইকেল)  ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান জুন (ঘোড়া) নির্বাচিত হয়েছেন। 

ডিমলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবা আকতার এবং সৈয়দপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ফলাফল ঘোষনা করেন। 

নেত্রকোনা

চতুর্থ ধাপে নেত্রকোনা সদর উপজেলার একটি, মোহনগঞ্জ উপজেলার সাতটি ও খালিয়াজুরি উপজেলার চারটি ইউনিয়নসহ ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১২টির মধ্যে আটটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রাথী জয়লাভ করেছেন। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলার সাত ইউনিয়নে বিজয়ীরা হলেন- বরকাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নে মোতাহার হোসেন চৌধুরী (নৌকা), বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নে মো. সোহাগ তালুকদার (ঘোড়া), তেতুঁলিয়া ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জহর (নৌকা), মাঘান-শিয়াদার ইউনিয়নে আবু বকর সিদ্দিক (নৌকা), সমাজ-সহিলদের ইউনিয়নে আমিনুল হক সোহেল (নৌকা), সুয়াইর ইউনিয়নে কামরুল হাসান সেলিম (নৌকা) ও গাগলাজুর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা)।

খালিয়াজুরী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে তিনটিতেই নৌকার পরাজয় ঘটেছে। খালিয়াজুরীতে জয়লাভ করেছেন চাকুয়া ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে শামীম মোড়ল (ঘোড়া), নগর ইউনিয়নে দেবেশ চন্দ্র তালুকদার (আনারস) ও গাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ স্বাধীন (আনারস)।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে স্থগিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান ফারাস দিলীপ জয়লাভ করেছেন।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। স্থগিত হওয়া এই ইউনিয়নের নির্বাচন রোববার অনুষ্ঠিত হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

চতুর্থ ধাপে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগরের ১০টি এবং আখাউড়ার ৫টি ইউনিয়ন। তবে আখাউড়ায় প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা।

রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফলাফল অনুযায়ী বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছায়িদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৭ হাজার ৩৫৮ ভোট, চান্দুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীউল হক চৌধুরী ৪ হাজার ২০৯ ভোট, ইছাপুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক বকুল আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৫৪৬ ভোট, চম্পকনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন চৌধুরী দুই পাতা প্রতীকে ২ হাজার ৪২৫ ভোট, হরষপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারোয়ার রহমান ভূইয়া ৬ হাজার ২৫২ ভোট, পত্তন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তাজুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে ৬ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। 

সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ৯ হাজার ৪২৯ ভোট, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল উদ্দিন চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৯২৩ ভোট, চরইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দানা মিয়া ভূইয়া ৩ হাজার ৪৮২ ভোট  ও পাহাড়পুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম ১০ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। 

এছাড়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে ৫ হাজার ৭৮৫ ভোট, ধরখার ইউনিয়নে সফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার ৬৯২ ভোট, মোগড়া ইউনিয়নে আব্দুল মতিন চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৭২৭ ভোট, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নে মো. শাহজাহান টেলিফোন প্রতীকে ২ হাজার ৫১০ ভোট এবং আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে জালাল উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে লোহাগাড়া, কর্ণফুলী ও পটিয়া উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ২১ জন। আর বাকি ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। 

লোহাগাড়ায় ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫টিতে নৌকা ও ১ টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। ৫টির মধ্যে দুটিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী।

বড়াহাতিয়া আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয় কুমার বড়ুয়া ও পুটিবিলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

কলাউজানে আব্দুল ওয়াহেদ (নৌকা), চরম্বায় মাওলানা হেলাল উদ্দিন (আনারস), পদুয়ায় মো. হারুনর রশিদ (নৌকা) ও চুনতিতে জয়নুল আবেদীন জনু(নৌকা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

চুনতি ইউনিয়নে জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানি ১২৪৯৭ ভোট (নৌকা) পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ৩০০৪ ভোট (চশমা) পেয়েছেন ।  

চরম্বা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা হেলাল উদ্দিন ৫২৩৪ ভোট (আনারস) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিক সাদাত উল্লাহ ৩৪৭৪ ভোট (মোটরসাইকেল) ও মাস্টার শফিকুর রহমান ৩৩৩৮ ভোট (নৌকা) পেয়েছেন ।

কলাউজানে আব্দুল ওয়াহাব ৮৩৮০ (নৌকা) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. এয়াছিন ৬২৭০ ভোট (আনারস) পেয়েছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও লোহাগাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন রোমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা এবং চারটিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী)  প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে পটিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী।

পটিয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যারা সরাসরি ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেন— খরনা ইউনিয়নে মাহবুবুর রহমান (নৌকা), জিরি ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম টিপু (নৌকা), আশিয়া ইউনিয়নে এম এ হাসেম (নৌকা), কাশিয়াইশ ইউনিয়নে আবুল কাশেম (নৌকা), কেলিশহর ইউনিয়নে সরোজ কান্তি সেন নান্টু (নৌকা), ছনহরা ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম (নৌকা), কচুয়াই ইউনিয়নে ইনজামুল হক জসিম (নৌকা), হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে ফৌজুল কবির কুমার (নৌকা), ধলঘাট ইউনিয়নে রনবীর ঘোষ টুটুন (নৌকা), ভাটিখাইন ইউনিয়নে মোহাম্মদ বখতিয়ার (নৌকা)।

এর আগে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শোভনদন্ডী ইউনিয়নে এহসানুল হক (নৌকা), বড়লিয়া ইউনিয়নে শাহীনুল ইসলাম সানু (নৌকা) এবং দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে মোহাম্মদ সেলিম (নৌকা)।

এছাড়াও ৪টি ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, জঙ্গল খাইন ইউনিয়নে শাহাদাত হোসেন সবুজ (স্বতন্ত্র), কোলাগাঁও ইউনিয়নে মাহবুবুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), হাইদগাঁও ইউনিয়নে বি এম জসিম (স্বতন্ত্র) ও কুসুমপুরা ইউনিয়নে জাকারিয়া ডালিম (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হলেও অপর একটিতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। 

তাদের মধ্যে শিকলবাহায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুর করিম ফোরকান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন  ৪ হাজার ৩৩৫ ভোট। আর বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।  

জুলধার আওয়ামী লীগ মনোনীত হাজী নুরুল হক নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৮৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।  বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদ আনারস প্রতীকে ১ হাজার ৭২৭ ভোট ও মুহাম্মদ মুসা চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৯০৭ ভোট পেয়েছেন।

চরলক্ষ্যায় আওয়ামী লীগ মনোনীত যুবলীগের সভাপতি সোলাইমান তালুকদার নৌকা প্রতীকে ১১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী (চশমা) ৪ হাজার ২৩৫ ভোট, মো. ইব্রাহিম মিয়া (আনারস) ১ হাজার ৭৪৭ ভোট, এটিএম হানিফ (মোটরসাইকেল) ১৪ ভোট, নাসির আহমেদ (ঘোড়া) ৪ ভোট পেয়েছেন।

কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দিদারুল আলম দিদার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর শুক্কুর।

রংপুর

রংপুরে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে গঙ্গাচড়া ও বদরগঞ্জ উপজেলার ১৯ ইউনিয়নের ৬টিতে নৌকা, ৩টিতে লাঙ্গল ও ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের আবু বকর সিদ্দিক, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন পাইকার, রামনাথপুর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের শওকত আলী, দামোদরপুর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের শেখ আবু বকর সিদ্দিক এবং মধুপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের নুর আলম ভুট্টু জয়লাভ করেছেন।

এছাড়া গোপালপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের শামসুল আলম, কুতুবপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের মোস্তাক চৌধুরী, কালুপাড়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের শহিদুল হক মানিক, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের ফিন্দউল হাসান চৌধুরী শান্ত ও লোহানীপাড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের ডলু শাহ্ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এই উপজেলার ১০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৯৪০ জন।

অপরদিকে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম লেবু, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ্ আল হাদী, মর্ণেয়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের জিল্লুর রহমান, গজঘণ্টা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের লিয়াকত আলী, বেতগাড়ী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মোহাইমিন ইসলাম মারুফ, বড়বিল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের শহীদ চৌধুরী দ্বীপ, কোলকোন্দ ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকে আব্দুর রউফ, আলমবিদিতর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র (বিএনপি) মোকাররম হোসেন সুজন এবং নোহালী ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকে আশরাফ আলী বিজয়ী হয়েছেন।

এই উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ১০৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ১৭৩ জন। ৯ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬৬ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুটি উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করণীয় ছিল তা করেছে প্রশাসন। এ নির্বাচনে সবকটি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

পাবনা

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাবনা সদর, আটঘরিয়া ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১৮ ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র ১৪টিতে ও চারটিতে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। 

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ভোটগণনা শুরু হয়। 

বেসরকারি ফলাফলে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছায় ঘোড়া প্রতীকের সৈয়দ মুনতাজ আলী, হেমায়েতপুরে মোটরসাইকেল প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম খান (আলম হাজী), দাপুনিয়ায় মোটরসাইকেল প্রতীকের ওমর ফারুক, আতাইকুলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের শওকত হোসেন, চরতারাপুরে আনারস প্রতীকের সিদ্দিকুর রহমান খান, দোগাছিতে ঘোড়া প্রতীকের আলী হাসান, গয়েশপুরে আনারস প্রতীকের মোতাহার হোসেন, সাদুল্লাপুরে মোটরসাইকেল প্রতীকের আলীম মোল্লা ও মালঞ্চিতে কবির আহম্মেদ বাবুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। 

আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ খান, চাঁদভায় নৌকার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল,‌ দেবত্তর নৌকার প্রার্থী মিহাইম্মিন হোসাইন চঞ্চল, একদন্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাল সরদার এবং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক বিজয়ী হয়েছেন। 

ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়ায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হেদায়েতুল হক, খান মরিচে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার খান মিঠু, অষ্টমনিষায় নৌকার প্রার্থী সুলতানা জাহান বকুল এবং দিলপাশার স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। 

কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ছাড়া দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। হিমায়েতপুরের নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও নজরুল ইসলাম হাবু উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টের বের করে দেওয়া এবং চরঘোষপুর মাদরাসাকেন্দ্রে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এতে চরঘোষপুর কেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এছাড়া আতাইকুলা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে। ‌ 

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চতুর্থ ধাপে পাবনার ১৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং, স্ট্যান্ডবাই ফোর্স মোতায়েন করা ছিল।

রাজশাহী

রাজশাহীর ১৫ ইউনিয়নের ১০টিতে আওয়ামী লীগ ও পাঁচটিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৪৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার খবরও পাওয়া যায়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

দুর্গাপুরের ছয় ইউনিয়নের চারটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা হলেন- কিসমত গণকৈড়ে আবুল কালাম আজাদ,  পানানগরে আজাহার আলী খাঁ, ঝালুকায় আকতার আলী এবং জয়নগরে মিজানুর রহমান।

এই উপজেলার বাকি দুই ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তারা হলেন- নওপাড়ায় শফিকুল আলম ও দেলুয়াবাড়ীতে রিয়াজুল ইসলাম। তারা দুজনই ঘোড়া প্রতীকে নৌকাকে ডুবান।

দুর্গাপুরের ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৫ জন। 

এদিকে চারঘাটের ৬ ইউনিয়নের ৪টিতে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তারা হলেন-চারঘাট সদরে ফজলুল হক, ভায়ালক্ষ্মীপুরে আব্দুল মজিদ প্রামানিক, সরদহে হাসানুজ্জামান মধু এবং শলুয়ায় আবুল কালাম আজদ।

এই উপজেলার দুই ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে ইউসুফপুরে নৌকা ডুবিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরিফুল ইসলাম মাখন। তিনি জয়লাভ করেছেন ঘোড়া প্রতীকে। এছাড়া নিমপাড়ায় জয়ে পেয়েছেন চশমা প্রতীকে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান।

চারঘাটের ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৩ জন। এছাড়া ২২৩ জন সাধারণ সদস্য এবং ৭৭ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ছিল। এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৭ জন। 

এছাড়া বাঘা উপজেলার তিন ইউনিয়নের দুটিতে জয় পয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তারা হলেন-আড়ানিতে রফিকুল ইসলাম ও  চকরাজাপুরে ডিএম বাবুল মনোয়ার। এছাড়া বাউসায় নৌকা ডুবিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ (তুফান)। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে জয় পয়েছেন।

বাঘার তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৮৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২২৮ জন। এখনকার ৩১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়।  

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও জগন্নাথপুর উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ১৪টিতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। মাত্র ৭টি ইউপিতে জয় পেয়েছে নৌকা। এর মধ্যে দিরাইয়ে ৩টি, বিশ্বম্ভরপুরে একটি ও জগন্নাথপুরে ৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।

দিরাই উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ৬ নম্বর করিমপুরে নৌকার প্রার্থী লিটন কুমার দাস (লিটু), রফিনগর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী শৈলেন্দ্র কুমার তালুকদার, ভাটিপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতাহ, জগদলে নৌকার প্রার্থী হুমায়ূন রশিদ লাভলু, বাজারনগর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চশমা প্রতীকের জহিরুল ইসলাম জুয়েল, সরমঙ্গল ইউপিতে চশমা প্রতীকে (বিএনপির প্রার্থী) মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল, চরনারচর ইউপিতে আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকের পরিতোষ রায়, তাড়ল ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি চশমা প্রতীকের মো. আলী আহমদ এবং কুলজ্ঞ ইউপিতে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোটরসাইকেল প্রতীকে মো. একরার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সলুকাবাদে নৌকা নুরে আলম সিদ্দিকী তপন, পলাশে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (মোটর সাইকেল) প্রতীকে সুহেল আহমদ সুহেল, ধনপুর ইউপিতে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) ঘোড়া প্রতীকের মো. মিলন মিয়া, দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপিতে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. ছবার মিয়া ও ফতেহপুর ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকের মো. ফারুক মিয়া সেরকারিভাবে নিার্বচিত হয়েছেন।

এদিকে প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ নম্বর কলকলিয়া ইউপিতে (স্বতন্ত্র) প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী মো. রফিক মিয়া, ২ নম্বর পাটলী ইউপিতে আওয়ামী লীগের মো. আঙ্গুর মিয়া, চিলাউরা হলদিপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শহিদুল ইসলাম, ৬ নম্বর রানীগঞ্জ ইউপিতে আওয়ামী লীগের শেখ ছদরুল ইসলাম, ৭ নম্বর সৈয়দপুর সাহারপাড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের মো. আবুল হাসান, আশারকান্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. আয়ুব খান ও পাইলগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মখলুস মিয়া বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, চতুর্থ ধাপে জেলার তিনটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

রাজবাড়ী

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ হয়। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্য ৮টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে মোট ১২৭টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হয়।

ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন- মিজানপুর ইউনিয়নে টুকু মিজি (নৌকা), চন্দনী ইউনিয়নে আব্দুর রব (নৌকা), শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নে নুর মোহাম্মদ ভূইয়া (নৌকা), খানগঞ্জ ইউনিয়নে শরিফুর রহমান সোহান (নৌকা), দাদশী ইউনিয়নে দেলোয়ার শেখ দেলো (আনারস), বরাট ইউনিয়নে কাজী শামসুদ্দিন (আনারস), পাঁচুরিয়া ইউনিয়নে মজিবর রহমান রতন (আনারস), বসন্তপুর ইউনিয়নে জাকির সরদার (মোটরসাইকেল), সুলতানপুর ইউনিয়নে আশিকুর রহমান (ঘোড়া), খানখানাপুর ইউনিয়নে একেএম ইকবাল হোসেন (চশমা), আলীপুর ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), রামকান্তপুর ইউনিয়নে রাজীব মোল্লা বাবু (মোটরসাইকেল)। এছাড়া বানিবহ ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শেফালী বেগম (নৌকা)।

ফরিদপুর

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ৩টিতে নৌকা ও ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের মিয়া আসাদুজ্জামান, বানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের হারুন অর রশিদ শরিফ এবং পাচুড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের এসএম মিজানুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে বোয়ালমারীর ১০ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন- ঘোষপুরে মো. ইমরান হোসেন নবাব মিয়া (আনারস), সাতৈরে রাফিউল আলম মিন্টু (চশমা), দাদপুরে মোশারফ হোসেন (ঘোড়া), বোয়ালমারী সদরে মো. আবদুল হক শেখ (মোটরসাইকেল), চতুলে রফিকুল ইসলাম (চশমা), পরমেশ্বরদীতে আব্দুল মান্নান মাতুব্বর (ঘোড়া), শেখরে মো. কামাল (নৌকা), রুপাপাতে মিজানুর রহমান সোনা মিয়া (আনারস), ময়নায় মো. আ. হক মৃধা (হাতপাখা) এবং গুনবহা ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (চশমা) প্রতীকে জয়লাভ করেছেন। 

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুষ্কৃতিকারীরা ঢুকে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বক্সভর্তির অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ কারণে এই ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করেনি রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে এই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৫ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া) গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ ভোট। 

পদ্মবিলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলম ৪ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) প্রতীকের সেলিম মল্লিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া) প্রতীকের আবু তাহের বিশ্বাস পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৭ ভোট। 

আলুকদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ৮ হাজার ২১৩ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আক্তার উর রহমান মুকুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৯ ভোট। 

কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (মানিক) ১১ হাজার ৩৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সদর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুষ্কৃতিকারীরা জোপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে। তাই ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চার ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কুতুবপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।

কুড়িগ্রাম

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ৩ উপজেলার ২১ ইউনিয়নের মধ্যে ১৮টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ, ২টিতে বিএনপির স্বতন্ত্র, ৩টিতে জাতীয় পার্টি ও ৫টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৭ ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে ফলাফলে একটিতে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী সমান ভোট পাওয়ায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। বাকি ৬টির মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং অপর একটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। 

বিজয়ীরা হলেন- রাজারহাট সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক (নৌকা), চাকিরপশার ইউনিয়নে আব্দুস সালাম (নৌকা) , ছিনাই ইউনিয়নে সহকারী অধ্যাপক সাদেকুল হক নুরু (নৌকা) ও নাজিমখান ইউনিয়নে আব্দুল মালেক পাটওয়ারী নয়া (নৌকা)। 

এছাড়া ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ প্রামাণিক (মোটরসাইকেল), উমর মজিদ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী আহসানুল কবির আদিল (ঘোড়া) বিজয়ী হয়েছেন। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর হোসেন (মোটরসাইকেল) সমান সমান ভোট পাওয়ায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজার রহমান মুকুল (নৌকা)। উলিপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টির ফলাফল ষোষণা করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়নের ভোট স্থগিত রয়েছে। স্থগিত করা চারটি ইউনিয়ন হলো দুর্গাপুর, তবকপুর, সাহেবের আলগা ও বুড়াবুড়ি। ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ অনিয়মের ঘটনায় দুর্গাপুর ইউনিয়নের চারটি ও তবকপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।  

৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ, ৪টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আতাউর রহমান, হাতিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শায়খুল ইসলাম নয়া, পান্ডুল ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির আমিনুল ইসলাম, বজরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম, গুনাইগাছ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোখলেছুর রহমান, দলদলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের লিয়াকত আলী, ধরনীবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আমিনুল ইসলাম, ধামশ্রেণী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিকুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টিল বাবলু মিয়া।

শরীয়তপুর 

চতুর্থ ধাপে শরীয়তপুরের ২ উপজেলার ১৯ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ছিল না দলীয় প্রতিক। ভোটাররা তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩২৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১০ জন ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে ৭টি ইউনিয়নে ২৫ জন চেয়ারম্যান, ১৮৫ সাধারণ সদস্য ও ৬৭ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউপিতে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- চরভাগা ইউপিতে মোটরসাইকেল প্রতীকের হাবিবুর রহমান সিকদার, আরশিনগরে মোটরসাইকেল প্রতীকে আলম সরদার, চরসেনসাস ইউপিতে মোটরসাইকেল প্রতীকে আনোয়ার হোসেন বালা, ডিএম খালী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে আবু বেপারী, সখিপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে মানিক সরদার, চরকুমারীয়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে মোজাম্মেল হক মোল্লা, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে শাহাজালাল মাল, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে ইউনুস মোল্লা। 

ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নে মো. মাসুদ পারভেজ লিটন, দারুল আমানে মমিনুল হক মিন্টু সিকদার, সিড্যায় সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু, শিধলকুড়ায় শেখ মো. মাসুদুল হক বাবুল, ইসলামপুরে মো. আবুল হোসেন মোল্লা, ধানকাঠিতে মো. গোলাম মাওলা রতন ও কনেশ্বের ইউনিয়নে মো. আনিছুর রহমান (বাচ্চু মাদবর) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

গাজীপুর

চতুর্থ ধাপে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, নাগরী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অলিউল ইসলাম অলি নৌকা প্রতীকে ১৮ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. সিরাজ মিয়া চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩২৮ ভোট। 

অপরদিকে গাজীপুর সদরের বাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) মো. হাবিবুর রহমান খান ৯ হাজার ৮৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল) আক্তার উজ্জামান শুকুর পেয়েছেন ৬ হাজার ২২৬ ভোট। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) মো. জহিরুল ইসলাম ৫ হাজার ৯০৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।

কুষ্টিয়া

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার ২০ ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার ৭  এবং স্বতন্ত্র ১৩ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

কুমারখালী উপজেলার বিজয়ীরা হলেন- উপজেলার কয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাজী মো. আলী হোসেন (আনারস), শিলাইদহ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী তারেক রহমান বিপ্লব (মোটরসাইকেল), জগন্নাথপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা (আনারস), সদকী ইউনিয়নে মিনহাজুল আবেদিন দ্বীপ (নৌকা), নন্দলালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউর রহমান খোকন (মোটরসাইকেল), চাপড়ায় এনামুল হক মঞ্জু (অটোরিকশা), বাগুলাটে আজিজুল হক নবা বিশ্বাস (নৌকা), যদুবয়রায় মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), চাঁদপুরে রাশিদুজ্জামান তুষার (মোটরসাইকেল), পান্টিতে হাফিজুর রহমান (মোটরসাইকেল) এবং চরসাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেছের আলী খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ।

খোকসার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে নৌকা এবং ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বিজয়ীরা হলেন- ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওহিদুল ইসলাম ডাবলু (আনারস), বেতবাড়ীয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাবুল আখতার (নৌকা), জানিপুরে হবিবুর রহমান হবি (নৌকা), শিমুলিয়ায় আব্দুল কুদ্দুস (আনারস), শোমসপুরে বদর উদ্দিন খান (নৌকা), গোপগ্রামে মোতালেব হোসেন (মোটরসাইকেল), জয়ন্তীহাজরায় আব্দুস সাকিব খান টিপু (আনারস), আমবাড়ীয়ায় আকমল হোসেন (চশমা) এবং খোকসা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুল মালেক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর 

চতুর্থ ধাপে যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৮ ইউপি নির্বাচন কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪টিতে নৌকা এবং ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

নৌকা প্রতীকের বিজয়ীরা হলেন- প্রেমবাগ ইউপিতে অধ্যাপক মো. মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী ইউনিয়নে কপিল রায় বিকাশ, পায়রা ইউপিতে মো. হাফিজুর রহমান বিশ্বাস ও শ্রীধরপুরে অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন। 

স্বতন্ত্র হয়ে বিজয়ীরা হলেন- চলিশিয়া ইউপিতে আনারস প্রতীক নিয়ে সানা আব্দুল মান্নান, বাঘুটিয়া ইউপিতে তৈয়েবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে, শুভরাড়া ইউনিয়নে মো. জহুরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে এবং সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে আবুল কাসেম মোটরসাইকেল প্রতীকে।

নির্বাচন চলাকালে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট ছিনিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ৭টিতে বিদ্রোহী ও ৬টিতে নৌকার প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া দুটিতে বিএনপিপন্থী প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণের নৌকার ভরাডুবি হয়েছে বলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রবীণ নেতা অভিযোগ তুলেছেন।

আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন- উত্তর জয়পুরে মিজানুর রহমান মিজান, চরশাহীতে জাহাঙ্গীর আলম রাজু, শাকচরে মাহফুজুর রহমান মাস্টার, চররমনী মোহনে আবু ইউছুফ ছৈয়াল, টুমচরে সৈয়দ নুরুল আমিন লোলা ও দত্তপাড়ায় এটিএম কামাল উদ্দিন। 

বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে উত্তর হামছাদীতে নজরুল ইসলাম, হাজিরপাড়ায় সামছুল ইসলাম বাবুল পাটওয়ারী, দিঘলীতে ইসমাইল হোসেন, মান্দারীতে সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী, ভবানীগঞ্জে সাইফুল হাসান রনি, চন্দ্রগঞ্জে নুরুল আমিন ও বশিকপুরে মাহফুজুর রহমান। তারা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা। এছাড়া বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী পার্বতীনগর ইউনিয়নে ওয়াহিদুর রহমান ও কুশাখালিতে সালাউদ্দিন মানিক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

গাইবান্ধা

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যদিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১ নং কামদিয়া ইউনিয়নে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। রাত ১১টায় উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ১৫টি ইউপি নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ১৫ নং শিবপুর ইউপির একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের কারণে ভোট স্থগিত থাকায় সেখানকার ফলাফলও স্থগিত হয়ে যায়।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী বিজয়ীরা হলেন- ১ নং কামদিয়া ইউনিয়নে মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী বাবলু (নৌকা), ২ নং কাটাবাড়ি ইউপিতে জোবায়ের হাসান মো. শফিক গোলাপ (নৌকা), ৩ নং শাখাহার ইউপিতে মুহম্মদ জাহাঙ্গীর কবির (মোটরসাইকেল), ৪ নং রাজাহার ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), ৫ নং সাপমারা ইউনিয়নে শাকিল আকন্দ বুলবুল (আনারস), ৬ নং দরবস্ত ইউপিতে আ.র.ম. শরিফুল ইসলাম জর্জ (নৌকা), ৭ নং তালুককানুপুর ইউনিয়নে মো. আব্দুর রহমান মাস্টার (ঘোড়া), ৮ নং নাকাই ইউপিতে খ. ম. সাজু (চশমা), ৯ নং হরিরামপুর ইউনিয়নে আজহারুল ইসলাম প্রধান (মোটরসাইকেল), ১০ নং রাখালবুরুজ ইউপিতে হাসানুর রহমান চৌধুরী ডিউক (মোটরসাইকেল), ১১ নং ফুলবাড়ি ইউনিয়নে আনিছুর রহমান শিবলু (আনারস), ১২ নং গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নে মো. মাসুদুর রহমান মুরাদ (ঘোড়া), ১৪ নং কোচাশহর ইউনিয়নে জহুরুল হক জাহিদ (ঘোড়া), ১৬ নং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান (চশমা) এবং ১৭ নং শালমারা ইউপিতে আনিসুর রহমান আনিস (নৌকা)। তবে ১৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।      

এদিকে পলাশবাড়ী উপজেলার ২ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে সাংবাদিক মো. রফিকুল ইসলাম সরকার ৪ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহম্মেদ পান ৩ হাজার ৮৩২ ভোট।

অন্যদিকে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক ৪ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাজু প্রামানিক পান ৩ হাজার ২১০ ভোট।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের ৩ উপজেলার ২২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ৯টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। বাকি ১৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। রাতে ভোট গণনার পর বেসরকারিভাবে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।

কটিয়াদী উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। বাকি ৭টিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। হোসেনপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী, বাকি ৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভৈরব উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা বাকি তিনটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নে মো. মাহফুজুর রহমান (নৌকা), সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নে আবুল কাশেম আকন্দ (নৌকা), বনগ্রাম ইউনিয়নে মো. জসিম উদ্দিন (স্বতন্ত্র), করগাঁও ইউনিয়নে মো. নাদিম মোল্লাহ (স্বতন্ত্র), মুমুরদিয়া ইউনিয়নে আলাউদ্দিন সাবেরী (স্বতন্ত্র), আছমিতা ইউনিয়নে মতিউর রহমান (স্বতন্ত্র), মসূয়া ইউনিয়নে আবু বাক্কার সিদ্দীক (স্বতন্ত্র), জালালপুর ইউনিয়নে রফিকুল আলম (স্বতন্ত্র) ও লোহাজুরি ইউনিয়নে হায়দার এম রাজ্জাক মারুয়া (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নে কামরুজ্জামান (নৌকা), গোবিন্দপুর ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান (নৌকা),পুমদি ইউনিয়নে আব্দুল কাইয়ুম (নৌকা), জিনারী ইউনিয়নে মো. আজহারুল ইসলাম রোহিদ (স্বতন্ত্র), আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে মো. খুর্শিদ উদ্দীন খুর্শিদ (স্বতন্ত্র) ও শাহেদল ইউনিয়নে মো. ফিরোজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নে মো. সাফায়েত উল্লাহ (নৌকা), শিবপুর ইউনিয়নে মো. শফিকুল ইসলাম (নৌকা), শিমুলকান্দি ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান (নৌকা), আগানগর ইউনিয়নে মো. হুমায়ুন কবির (নৌকা), শ্রীনগর ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ ভূইয়া (স্বতন্ত্র), কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে লিটন মিয়া (স্বতন্ত্র) ও গজারিয়া ইউনিয়নে এ.এস শাহরিয়ার (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার কটিয়াদী উপজেলার চরপুক্ষিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথমে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনারস প্রতীক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আবার দুপুরে একই কেন্দ্রে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেলে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এছাড়া হোসেনপুর উপজেলা ও ভৈরব উপজেলার কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ৪ ইউনিয়নের সবগুলোতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। চারটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকার কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি। তিনটিতে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ও একটিতে জামায়াতের প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাচোল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রোকাব আলী দেওয়ান। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, কসবা ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীকে জাকারিয়া আল মেহরাব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। ফতেপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাদির আহম্মেদ ভুলু পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হোসেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮২৩ ভোট। নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইসমাইল হক অপু। 

নাচোল সদর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে ৯ হাজার ১৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেসবাউল গনি চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৩ ভোট। নৌকা প্রতীক এখানেও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে কাবুল হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৪ ভোট। 

নেজামপুর ইউনিয়নে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল হক। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল আওয়াল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১১৫ ভোট। নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৩৪ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নজরুল ইসলাম। 

এদিকে জেলার ভোলাহাট উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও রোববার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত একটি ইউনিয়নের ফলাফল পাওয়া যায়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহ জানান, গোহালবাড়ি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইয়াসিন আলী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৭২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকে রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯ ভোট। অন্য ৩ ইউনিয়নের ফলাফল নিয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তাসিনুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

নওগাঁ

নওগাঁর তিন উপজেলার ২৬ ইউপিতে নৌকা প্রতীকে ১১ জন এবং স্বতন্ত্র ১৫ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ধামইরহাট উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকার চারজন ও স্বতন্ত্র চারজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। নৌকার বিজয়ীরা হলেন- জাহানপুর ইউনিয়নে গোলাম কিবরিয়া, উমার ইউনিয়নে ওবায়দুল হক সরকার, ইসবপুর ইউনিয়নে মাহফুজুল হক লাকি এবং আলমপুর ইউনিয়নে ওসমান গনি।

স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ধামইরহাট সদর ইউনিয়নে এটিএম বদিউল আলম, খেলনা ইউনিয়নে আলহিল মাহমুদ চৌধুরী, আড়ানগর ইউনিয়নে মোসাদ্দেকুর রহমান, আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নে ইসমাইল হোসেন মোস্তাক।

মহাদেবপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকার পাঁচজন ও স্বতন্ত্র পাঁচজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের বিজয়ীরা হলেন- মহাদেবপুর ইউনিয়নে সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, রাঁইগা ইউনিয়নে আরিফুর রহমান আরিফ, চেরাগপুর ইউনিয়নে শিবনাথ মিশ্র, খাজুর ইউনিয়নে বেলাল উদ্দিন ও এনায়েতপুর ইউনিয়নে মেহেদী হাসান মিঞা।

স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- সফাপুর ইউনিয়নে সামসুল আলম বাচ্চু, হাতুড় ইউনিয়নে এনামুল হক, উত্তরগ্রাম ইউনিয়নে আবু হাছান, ভীমপুর ইউনিয়নে রামপ্রসাদ ভদ্র এবং চান্দাশ ইউনিয়নে মামুদান নবী।

আত্রাই উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে দুইজন ও স্বতন্ত্র ছয়জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নৌকা প্রতীকে বিজয়ীরা হলেন- ভোঁপাড়া ইউনিয়নের নাজিমউদ্দীন মন্ডল এবং কালিকাপুর ইউনিয়নে নাজমুল হক নাদিম।

স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- সাহাগোলা ইউনিয়নে এস.এম মামুনুর রশীদ মামুন, আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে শেখ মঞ্জুরুল আলম, পাঁচুপুর ইউনিয়নে খবিরুল ইসলাম, বিশা ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন খান, মনিয়ারী ইউনিয়নে সম্রাট হোসেন এবং হাটকালুপাড়া ইউনিয়নে আফজাল হোসেন।

পঞ্চগড়
 
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের বোদা ও আটোয়ারী উপজেলার ১০ ইউপির ৭টিতে নৌকা ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

বোদা উপজেলার বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ময়দানদিঘী ইউনিয়নে আব্দুল জব্বার (নৌকা), কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউপিতে আব্দুর মোমিন (নৌকা), মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নে আবু আনছার মো. রেজাউল করিম (নৌকা), চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম প্রধান (নৌকা), সাকোয়া ইউনিয়নে হাফিজুর রহমান (নৌকা), পাঁচপীর ইউনিয়নে অজয় কুমার রায় (নৌকা), বড়শশী ইউনিয়নে আব্দুর রহিম (চশমা), বোদা ইউনিয়নে অখিল চন্দ্র ঘোষ (মোটরসাইকেল) ও বনগ্রাম ইউনিয়নে সাহেব আলী (চশমা)।

অন্যদিকে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেলোয়ার হোসেন নৌকা প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বোদা উপজেলার ৯টি ও আটোয়ারী উপজেলার ১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোলা

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭ ইউপির ৪টিতে নৌকা ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ীরা হলেন- বড় মানিকা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জসিম উদ্দিন হায়দার, কুতুবা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া, হাসাননগর ইউনিয়নে নৌকার আবেদ চৌধুরী, কাচিয়া ইউনিয়নে নৌকার আ. রব কাজী, দেউলা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের আসাদুজ্জামান বাবুল, টবগী ইউনিয়নে অটোরিকশা প্রতীকের জসিম উদ্দিন হাওলাদার, পক্ষিয়া ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের  আলাউদ্দিন সর্দার। তবে স্থানীয়ভাবে তাদের বিজয়ী হওয়ার কথা শোনা গেলেও বেসরকারিভাবে এখনও বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়ায় ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন রোববার শেষ হয়েছে। ভোটগণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফলে ৭টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

নলদী ইউপিতে আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র), লাহুড়িয়ায় কামরান শিকদার (স্বতন্ত্র), শালনগরে লাবু মিয়া (নৌকা), নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন মুন্সী জোসেফ হোসেন (নৌকা), জয়পুরে সাইফুল ইসলাম সুমন (নৌকা), কাশীপুরে মতিয়ার রহমান (নৌকা), লক্ষ্মীপাশায় নুর মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র), মল্লিকপুরে সাহিদুর রহমান শহিদ (স্বতন্ত্র), দিঘলিয়া ইউনিয়নে সৈয়দ বোরহান উদ্দিন (স্বতন্ত্র), কোটাকোল ইউপিতে হাচান মোল্লা (নৌকা), লোহাগড়া ইউপিতে নাজমিন খন্দকার (নৌকা) ও ইতনায় শেখ সিহানুক রহমান (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।

ময়মনসিংহ

চতুর্থ ধাপে ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও তারাকান্দা উপজেলার ২০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের ফলাফলে ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ৯টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া একটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। 

গৌরীপুরের ১০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২টিতে নৌকা, ৭টিতে স্বতন্ত্র এবং উপজেলার সিধলা ইউপির ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিজয়ীরা হলেন- গৌরীপুরের মইলাকান্দায় মো. রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ (আনারস), গৌরীপুর ইউনিয়নে হয়রত আলী (নৌকা), অচিন্তপুরে মো. জায়েদুর রহমান (মোটরসাইকেল), মাওহা ইউনিয়নে মোহাম্মদ আল ফারুক (ঘোড়া), সহনাটিতে সালাউদ্দিন কাদের রুবেল (নৌকা), বোকাইনগরে আল মুক্তাদির শাহীন (ঘোড়া), রামগোপালপুরে আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি (আনারস), ডৌহাখলাতে এম এ কাইয়ূম (ঘোড়া) এবং ভাংনামারীতে মো. নেজামুল হক (আনারস)। 

এদিকে তারাকান্দা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৭টিতে নৌকা ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। 

বিজয়ীরা হলেন- তারাকান্দা ইউনিয়নে খাদেমুল আলম শিশির (নৌকা), বানিহালায় আলতাফ হোসেন খন্দকার (নৌকা), গালাগাঁওয়ে আব্দুর রহমান (নৌকা), ঢাকুয়ায় ইকরামুল হক তালুকদার (নৌকা), রামপুরে আজিজুর রহমান বুলে (নৌকা), কামারিয়ায় আজারুল ইসলাম সরকার (নৌকা), বালিখাঁয় শামছুল আলম (নৌকা), কামারগাঁওয়ে নাইমুর রহমান উজ্জল (চশমা), বিসকায় শাকের আহমেদ বাবুল (ঘোড়া) এবং কাকনী ইউনিয়নে আ. খালেক তালুকদার (ঘোড়া)। 

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার ও তারাকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একেএম সাইদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

সিলেট

চতুর্থ ধাপে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ২০ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন।

বিয়ানীবাজারের ১০ ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন- আলীনগরে নৌকার আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, শেওলায় নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিন, দুবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তুতা, মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিন, তিলপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান (বিএনপি), মুড়িয়ায় ফরিদ আল মামুন (জামায়াত স্বতন্ত্র), মুল্লাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান (বিএনপি স্বতন্ত্র), লাউতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বিয়ানীবাজারে শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। 

গোলাপগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নের ঘোষিত ফলাফল অনুসারে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুস সামাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাদির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৪ ভোট। সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তমজ্জুল আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৪ ভোট।

ফুলবাড়ি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল হানিফ খান। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৫ ভোট। লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন জেবুল ৫ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলীম তুহিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৬১ ভোট।

ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে ৬ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আব্দুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নোমান উদ্দিন মুরাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০০ ভোট। লক্ষ্মনামন্দ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মো. খলকুর রহমান ৯ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওজি মো. কাওছার পেয়েছেন ৭ হাজার ২২৬ ভোট।

ভাদেশ্বর ইউনিয়নে ১১ হাজার ৮৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী সেলিম উদ্দিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৮ ভোট। আমুড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ১২১ ভোট।

বাদেপাশা ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ হোসাইন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোস্তাক আহমদ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫১ ভোট। শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম কবির উদ্দিন আহমদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী এম এ মুহিত হীরা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৪ ভোট।

আরএআর/এসপি