ভোট গণনা শেষ। ফল এল, মোরগ প্রতীকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু তালেবের খাতা ভোটশূন্য। এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। পরে দ্বিতীয়বার গণনায় তার ভোট শূন্য থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮৩।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে দ্বিতীয়বার গণনায়ও জিততে পারেননি বর্তমান সদস্য পদে থাকা আবু তালেব। ফুটবল প্রতীকে রিংকু আহমেদ ১ হাজার ১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

জানা গেছে, ভোট গণনা শেষে বেলঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার ফলাফল ঘোষণা করেন। ওই সময় জানা যায়, আবু তালেব শূন্য ভোট পেয়েছেন। এ সময় তার কর্মী-সর্মথকরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেন।

পরে টেবিলের নিচে ব্যালট পেপারের একটি বান্ডিল পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দফা গণনা শেষে তিনি ৮৩ ভোট পান। আন্দোলন চলাকালে পরাজিত প্রার্থী আবু তালেব গণমাধ্যমকর্মীদের মোবাইলে ভোটদানের একটি ছবি দেখান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এই যে ছেলেটা মোরগ প্রতীকে ভোট দিয়েছে, মোবাইলে ছবিও তুলেছে। তার ভোটটা কোথায় গেলে?

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ব্যক্তি ভোটে দাঁড়িয়েছে, সে কি তার নিজের ভোটটাও দেয় না? পৃথিবীর কোথাও কি এমন ঘটনা ঘটেছে? কোনো জাতি কি এমন করে? এটা কীভাবে সম্ভব?

এ সময় আবু তালেবের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ভোটকেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়ালে ফের ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে বেলঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ভোটের এক বান্ডিল ব্যালট পেপার টেবিলের নিচে পড়ে থাকায় তাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। তারা মনে করেছেন আবু তালেব শূন্য ভোট পেয়েছেন। কিন্তু পরে টেবিলের নিচে ব্যালট পেপার খুঁজে পাওয়া যায়। শেষে পুনরায় ভোট গণনায় তার প্রাপ্ত ফলাফল বেরিয়ে আসে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ