নিহত কবির হোসেন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে কবির হোসেন (৪৫) নামে এক দলিল লেখকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। 

নিহত কবির হোসেন সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, কবির হোসেন চুয়াডাঙ্গা রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক হিসেবে কাজ করতেন। যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। এ নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের একটি লিচু গাছে কবির হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। 

পুলিশ বলছে, আত্মহত্যার মূল কারণ এখনো অস্পষ্ট। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠোনো হয়েছে।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দলিল লেখক কবির হোসেন খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ধারণা করছি সে কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে লিচু বাগান থেকে কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। দুপুরে মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

আফজালুল হক/আরএআর