‘তিন বছর ধরে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে এ সরকার। বেগম জিয়াকে যখন জেলহাজতে পাঠানো হয়, তিনি সুস্থ ছিলেন। পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। জামিনে বের হয়েছেন হুইলচেয়ারে করে। বেগম জিয়াকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তার খাদ্যে বিষক্রিয়া করা হতে পারে।’

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর সেতুর নিচে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা করানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ভয়ংকর নীলনকশা করছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান। ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়াকে একমাত্র পথের কাঁটা মনে করছেন তিনি। এ জন্য খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে পৃথিবী থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি এ দেশে পিতা হওয়ার কথা ছিল। তিনি জনগণের কেউ না। তিনি হয়েছেন আওয়ামী লীগের পিতা।

মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এ সভায় সঞ্চালনা করেন দলটির জেলা শাখার সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতন। সভাপতিত্ব করেন দলটির জেলা আহ্বায়ক আবদুল হাই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ইশরাক হোসেনসহ জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতা-কর্মীরা।

আব্দুল হাই বলেন, বিদেশিরা এ দেশের বড় বড় চোরদের তালিকা করছে। আপনারাও শহর থেকে গ্রামের সব চোরদের তালিকা তৈরি করুন। এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সকরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের রাস্তাঘাটের নেতাকর্মীরা কথায় কথায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যায়। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ফাঁসির রায় মওকুফ করে রাতের আঁধারে বিদেশে পাচার করে দেন রাষ্ট্রপতি। অথচ বেগম জিয়ার বেলায় আইন দেখায় তারা। বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। এ দেশের মানুষ সব বোঝে। বেগম জিয়া যদি বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে দীর্ঘ করতে সহযোগিতা করতেন, তাহলে তাকে এত নির্যাতন সহ্য করতে হতো না।

ব.ম শামীম/এনএ