চতুর্থ ধাপে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফউদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭০৩ ভোট। এর আগে তিনি পাঁচবার ওই ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন।

জানা গেছে, সুন্দরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মানিক অটোরিকশা প্রতীকে ৫ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর নৌকার প্রার্থী শরিফউদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭০৩ ভোট। সর্বনিম্ন ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার। শরিফউদ্দিন আহমেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।

উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের তথ্য মতে, সুন্দরপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২১ হাজার ৫৮ জন। ভোট পড়েছে ১৭ হাজার ৯৫০টি। নির্বাচনী আইন অনুসারে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। হিসেব অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ২ হাজার ২৪৪ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেখানে শরিফউদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭০৩টি।

এ বিষয়ে শরিফউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টেকে বলেন, ভোটের তিন দিন আগ পর্যন্ত মাঠের পরিবেশ ভালো ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের অসহযোগিতার কারণে হেরে গেছি। ১৯৮৪ সাল থেকে ভোটের মাঠে পাঁচবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। গত নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলাম।

সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিদুল ইসলাম মাস্টার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তৃণমূলের ভোট নিয়ে প্রার্থীর নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠালেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শরিফকে। তিনি ভালো মানুষ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। এটি তার ১১তম নির্বাচন। গতবার মানুষকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। অথচ আবার তিনি নির্বাচন করছেন। মানুষ তার প্রতি বিমুখ হয়েছে। 

ভোটে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মানুষ হেরে গেলে অনেক কথা বলে। আমি হেরে গেলে আমিও বলতাম। দলীয় নেতাকর্মীদের আন্তরিকতার কমতি ছিলে না।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি