‘আওয়ামী লীগের জন্য জন্য আমি জীবনে অনেক কিছু করেছি। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পাইনি। শুধু নির্যাতিত আর অত্যাচারিত হয়েছি। যেখানে কোনো মূল্যায়ন নেই, সেখানে তো আর থাকতে পারি না। তাই নতুন দলে যোগ দিয়েছি।’

কথাগুলো বলছিলেন অতিসম্প্রতি আওয়ামী লীগ ছেড়ে নুরুল হক নুরের দল গণ-অধিকার পরিষদের যোগদানকারী মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বরকত আলী।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনার ঝড়। ফেসবুকে খবরটি ভাইরাল হলে মাগুরার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জল্পনা।

জানা গেছে, অতিসম্প্রতি গণ-অধিকার পরিষদের ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বরকত আলী। তবে তিনি একা নন, যোগদানকালে সঙ্গে নিয়েছেন জেলা যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট শিবলু, ব্যবসায়ী শাহেদ জোয়ারদার ও মুহাম্মদ রাসেলকে।

জানতে চাইলে মো. বরকত আলী বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত আমাকে কোনো মূল্যায়ন করেননি। জীবনে দলের জন্য অনেক কিছু করেছি। কিন্তু দল থেকে আজ পর্যন্ত আমি কিছুই পাইনি। তবে সাধারণ মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসা নিয়েই নতুন দল ছোট হলেও তাতে সারা জীবন থেকে মানুষের জন্য সেবা করতে চাই।

মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। তবে বরকত আলী আমাদের দলের কোনো পদপদবিতে ছিলেন না। তিনি মূলত অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ঘরানার লোক। তার পরিবারের অন্যরা বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই এ বিষয়ে আমাদের মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই।

এ বিষয়ে মতামত জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য ডক্টর শ্রী বীরেন শিকদারেরর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

একেএম অপূর্ব/এনএ