বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শেখায়। ১৯৭১ সালে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আর তারা বলে, মেজর জিয়া নাকি মুক্তিযোদ্ধাই না। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়া। আর সরকার তাকে নাটকের করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া কারও দয়া নয়, এটা তার আইনগত অধিকার। এ দেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। 

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা নলীনী দাস স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেশে স্বৈরশাসকরা দেশটাকে স্বৈরশাসনে পরিণত করেছে। নায়কতন্ত্র কায়েম করে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা কায়েম করেছে। স্বৈরশাসকের ভিত কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। এ কারণেই আজকের সমাবেশ সরকারি স্কুলে করতে দেয়নি। দেশের অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতি, গুম-খুন আজ আমেরিকা, জাতিসংঘসহ দেশের বাইরেও প্রচার পেয়েছে। তারা রক্ষা পাবে না। তাদের অপকর্মের কথা আগে বাংলার মানুষ জানত। আর আজ বিশ্ববাসী জানছে। 

ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জনগণের সঙ্গে এই সরকারের প্রতারণা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কোথায় গেল সেই ১০ টাকা কেজির চাল। এখন সময় এসেছে তাদের সঠিক জবাব দিতে হবে। সারাদেশে ৬ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম করেছে। তাদের মা, স্ত্রী ও ছোট-ছোট বাচ্চাদের কান্না আজও থামেনি। 

প্রশাসনের উদ্দ্যেশে মেজর হাফিজ বলেন, বস্তাপচা নেতাদের কথায় আপনারা যে অন্যায়-অপরাধ করছেন তা ঠিক নয়। ভালো হয়ে যান। ভালো হতে সময় লাগে না। এ সরকারের সময় বেশিদিন নেই। আপনারা প্রস্তুত থাকেন, এ দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। জনতার শক্তিই বড় শক্তি। আজকের সমাবেশ তার বড় প্রমাণ। 

তিনি আরও বলেন, পার্শবর্তী দেশ মায়ানমারে সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করেছে। দেড় লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগের শাসন তো সামরিক শাসনের চাইতেও খারাপ। আমরা কয়জন রাজপথে নেমে এসেছি? 

এ সময় জাতীয়বাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) বিলকিস জাহান শিরিন, বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) আকন কুদ্দুসুর রহমান, ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হায়দার আলী লেলীনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদলসহ সকল অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ইমতিয়াজুর রহমান/আরআই