বাবাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিল ছেলে
খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতীর শোলপুর গ্রামে বাবাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে এক ছেলে। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর বাবা এনামুল হকের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত নিহতের ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির (১৮) ও তাকে সহায়তাকারী জুম্মানকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিয়ামুল নিজের হাতে বাবাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন রূপসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, দীর্ঘদিন সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ থাকায় গলে গেছে। খবর পেয়ে নিহতের হাড়-গোড়সহ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ও তার সহায়তাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন নিয়ামুল। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং গলিত মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।
স্বীকারোক্তিতে নিয়ামুল জানিয়েছেন, প্রায় সাত মাস আগে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। রূপসা উপজেলার আইচগাতীর শোলপুর গ্রামে নিয়ামুল তার সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে মসলা বাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবা এনামুল হককে হত্যা করে। পরবর্তীতে ওই রাতেই মরদেহ নিয়ামুল তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়।
বিজ্ঞাপন
গত ২৯ ডিসেম্বর নিয়ামুল ইসলাম তানভির তার ছোট ভাই নাঈমকে (১১) মারধর করলে একপর্যায়ে নাঈম চিৎকার করে তার বাবার হত্যার কথা বলতে থাকে। বিষয়টি এলাকাবাসী শুনতে পেলে নিয়ামুল দিঘলিয়ার একটি গ্রামে আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে এবং এনামুল হকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর