হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ৩ দিন পর সুমন নামে এক দোকান কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। সে বানিয়াচং উপজেলার মিয়াখানী গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে এবং ভাড়াটিয়া হিসেবে পৌর এলাকার উমেদনগরে বসবাস করত।
 
শনিবার রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী।
 
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ শহরের উমেদনগর এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে সুমনকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
ওসি আরো জানিয়েছে, আটক সুমন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন ৩ জনের মধ্যে সে একজন। হত্যাকাণ্ডের আগে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই পরিকল্পনাকারীর একজন সুমন।
 
গেল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিহত সাইফুল ইসলামের বোন লুৎফুন্নেছা শেফু বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সাইফুল ইসলামকে (৩৫) দুপুরে শহরের টাউন হল এলাকায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সাইফুল ইসলাম মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
 
দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছে তার সহকর্মীরা। ইতোমধ্যে পুরো সিলেট বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা অচল করার হুমকি দিয়েছে। 

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এমএএস