বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বন্দী করে রাখা ৭ শতাধিক শালিক পাখিকে অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২ জানুয়ারি) বিকেলে উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

এর আগে শনিবার রাত ও রোববার ভোরে পুলিশ মোল্লাহাট উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের রাজপাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বাড়ি থেকে ৭ শতাধিক শালিক পাখি উদ্ধার করে।

শিকার করা শত শত শালিক আটকে পাখির খামার গড়ে তুলেছিলেন এক ব্যক্তি। বিভিন্ন কৌশলে ধরা শালিকগুলোকে খুলনা ও আশাপাশের এলাকায় বিক্রি করতেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, এই অঞ্চলে শালিক পাখি তেমন খায় না। তবে বিভিন্ন হোটেলে কোয়েল বলে শালিকের মাংস খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া সৌখিনভাবে বাসা-বাড়িতে পালনের প্রচলন আছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, গাওলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বিভিন্ন ধরনের পাখি আটকে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে গভীর রাতে অভিযানে যাই। সে সময় রাজপাট এলাকার জনৈক কাকা মিয়ার বাড়ির থেকে ৫ শতাধিক এবং পার্শ্ববর্তী অন্য একটি বাড়ি থেকে আরও ২ শতাধিক শালিক পাখি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শালিকগুলো স্থানীয় বিভিন্ন বিল-বাওড় থেকে শিকার করা হয়। অভিযান টের পেয়ে শালিকগুলো আটকে রেখে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যায়।

তানজীম আহমেদ/আরআই