উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘন মেঘে সূর্য ঢাকা থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় প্রাকৃতিক উষ্ণতা পাচ্ছে না মানুষ। 

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার (০৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দিনে দিনে আরও কমতে পারে। আকাশে ঘন মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে আসতে পারে।

ঠান্ডায় গবাদি পশুর দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে জেলার হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার নামদেল মিয়া জানান, এই ঠান্ডায় ছোট দুই বাচ্চাকে নিয়ে খুবই সমস্যা পড়েছি। শীতকালে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। অভাবের সংসারে ছেলেদের গরম কাপড় কিনতে পারছি না। আজ পর্যন্ত কেউ একটি কম্বলও দেয়নি।

জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ২ হাজার ৮১৫টি কম্বল পেয়েছি। এগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল কেনার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। সেটাও বিতরণ করা হবে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ রয়েছে। আগামী ১-২দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

জুয়েল রানা/এসপি