জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টের কাছ থেকে ফলাফল শিটে আগাম স্বাক্ষর নিয়েছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর বেলা পৌনে ১১টায় আয়মারসুলপুর হাজি মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। 

ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দাবি- ভোট গণনার পর এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণে আগাম স্বাক্ষর নিয়ে রাখা হয়েছে।

বেলা পৌনে ১১টায় আয়মারসুলপুর হাজি মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ভোটাররা বিদ্যালয়ের মাঠে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আর পুরুষ ভোটাররা দ্বিতীয় তলায় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমানের কক্ষের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। 

দরজা খুলে ভেতর ঢুকে দেখা গেল, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান এক ব্যক্তির কাছ থেকে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর নিচ্ছিলেন। ফলাফল শিটে স্বাক্ষর করা ওই ব্যক্তি জানান, তার নাম শামীম হোসেন। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী মামুনুর রশীদ মিল্টনের (আনারস প্রতীক) এজেন্ট হিসেবে বুথে রয়েছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাকে ডেকে এনে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তিনি স্বাক্ষর দিতে কোনো আপত্তি করেননি। 

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোট গণনার পর প্রার্থীদের এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণে এজেন্টদের কাছ থেকে ফলাফল শিটে আগাম স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। যদি কেউ স্বাক্ষর দিতে আপত্তি করেন তাহলে তার স্বাক্ষর নেওয়া হবে না।

এছাড়া জামালপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। চার নম্বর বুথের গোপন কক্ষে ঢুকে দুইজন নারী একসঙ্গে ভোট দিচ্ছেন। পাশের বুথের গোপন কক্ষে ঢুকে দুই তরুণ একসঙ্গে ভোট দিচ্ছিলেন। 

নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট জহুরুল ইসলাম বলেন, ওই দুই তরুণ সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এ কারণে তারা একসঙ্গে ভোট দিয়েছেন।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। দু-একটি অনিয়ম হতেই পারে।

চম্পক কুমার/আরএআর