শাহাদাত হোসেন

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে হিসরবরক্ষক মো. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কুমার সরকার ও শামীমা ইয়াসমিন বিদ্যালয়ের বাৎসরিক হিসাব অডিট করেন। তারা অডিটে দেখাতে পান বিদ্যালয় ফান্ডের প্রায় ২ লক্ষ ৪১ হাজার ও শিক্ষক ফান্ডের ১৫ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল রয়েছে। শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রায় ৬০ হাজার টাকা কেটে রাখলেও সেটি তাদের ব্যাংকে হিসাবরক্ষক জমা দেননি।

সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কুমার সরকার ও শামীমা ইসমিন জানান, আমরা প্রতি ৩ মাস পর পর বিদ্যালয়ের হিসাব অডিট করি। আমরা শেষ অডিট করেছিলাম ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। তখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের হিসাব ঠিক ছিল। তবে আমরা ২০ ডিসেম্বর অডিট করতে গেলে সেখানে শাহাদাৎ হোসেনের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পরে। তখন আমরা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানাই।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে হিসাবরক্ষক শাহাদাতের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেন। পরে সে সব শিকার করে এবং বিদ্যালয়ে টাকা ৭ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু তিনি ২২ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। আমি ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর তার ফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাই।

পরে তার চাকরিকালীন দেওয়া ঠিকানা লৌহজং উপজেলার বালিগাঁও এলাকায় গিয়ে জানতে পারি এটি তার শ্বশুরবাড়ি। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকাতেও অনেক মানুষের থেকে অনেক টাকা ঋণ নিয়ে এবং বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। পরে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে আমি শ্রীনগর থানায় জিডি করেছি বলে জানান তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আশরাফী বলেন, বিষয়টি এতদিন আমাকে কেউ জানায়নি। প্রধান শিক্ষক আজ আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমরা আবগত নই।

ব ম শামীম/এমএসআর