পঞ্চম ধাপে ফরিদপুরের সদরপুরের একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাত্র ৫৬ ভোট পেয়েছেন। এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৩০০ ভোট পেয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সদরপুরের চর মানাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বজলু মাতুব্বর। সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা হলে জানানো হয় তিনি মাত্র ৫৬ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম (চশমা) ৩ হাজার ৩০০ ভোট পান। এতে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

ওই ইউনিয়নে মোট প্রার্থী ছিলেন ১১ জন। বাকি ৯ জন হলেন কাজী নজরুল ইসলাম (আনারস), মিজানুর রহমান (টেলিফোন), মুকলেচুর রহমান (রজনীগন্ধা), মো. আইয়ুব আলী (ঘোড়া), মো. ছালাম মাতুব্বর (টেবিলফ্যান), মো. বিল্লাল হোসেন (ঢোল), মো. মামুনুর রশীদ (হাতপাখা), সাইদা ইয়াসমীন (অটোরিকশা) ও মো. সাখাওয়াত (মোটরসাইকেল)।

এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী মো. বজলু মাতুব্বর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দল ক্ষমতায়। তবু এই হার আমার নিজের ও দলের জন্য লজ্জাজনক। আমি নৌকার প্রার্থী হয়েও ভালোভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারিনি একটা শক্তির বিরোধিতার কারণে। আমি আমার কোনো নেতাকর্মীর সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি।

তিনি আরও বলেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার প্রশ্ন, চর মানাইতে নৌকা কইরা কেন হামলা-নির্যাতনের স্বীকার হইতে হবে? বাড়ি ছাইড়া পালাইতে হবে?

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, বজলু মাতুব্বর ঢাকায় গিয়ে নৌকার মনোনয়ন কেনেনি। আমরা তার নাম তৃণমূল থেকে সুপারিশ করে পাঠিয়েছিলাম জেলা কমিটির কাছে। এভাবেই তিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পরে শুনেছি বজলু সাহেব অসুস্থ। সেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেননি। এ জন্যই মূলত আমাদের এ লজ্জাজনক হার হয়েছে।

জহির হোসেন/এনএ