চলনবিল এখন হলুদ রঙে মাতোয়ারা। যত দূর চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। দেখলেই মন ভরে যায়। আর হলুদ ফুলে সুশোভিত মাঠে পাখা মেলেছে মৌমাছি-ভ্রমর। তাদের গুঞ্জনে কৃষকের মনও আনন্দিত। 

চলনবিলের সরিষা ফুলকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এসেছেন মধুচাষিরা। তারা মধু সংগ্রহের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। মৌমাছির বাক্স স্থাপন করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা খেতে মধু উৎপাদন যত বেশি হবে মৌমাছির দ্বারা ফুলে ফুলে পরাগায়ন তত বেশি ঘটবে। ফলে সরিষার উৎপাদনও বাড়বে। 

সরেজমিনে চলনবিলের হাতিয়ান্দহ, লালোর, শেরকোল, চৌগ্রামে মাঠজুড়ে শুধু হলুদ আর হলুদ। এসব জমিতে বাক্স বসিয়ে কৃষকরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে।

কৃষক আল মাসুম জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় মধু চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ বছরই প্রথম মধু উৎপাদন শুরু করেছি।

কৃষক সাগর জানান, মাত্র দুটো বাক্স নিয়ে গত বছর প্রথম মধু চাষ শুরু করেছিলাম। খরচ বাদে গত বছর মধু বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়েছিল। এ বছর আমার বাক্স আছে ১০টি। আশা করছি ২ লাখ টাকার মধু বিক্রি করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিংড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। সরিষা থেকে মধু উৎপাদন করে বাড়তি আয় হওয়ায় কৃষকদের মাঝে মধু চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আমরা প্রথমবারের মতো ১০ জন কৃষককে মধু চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে ১০টি আধুনিক মৌ বাক্স দিয়েছি। আশা করছি, আগামীতে সরিষা চাষের পাশাপাশি মধুচাষির সংখ্যাও বাড়বে।

তাপস কুমার/এসপি